Wed, Sep 13 2017 - 2:05:26 PM +06

১ থেকে ২২ অক্টোবর ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ হচ্ছে


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

ইলিশ রক্ষায় আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে আগামী ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী নিষিদ্ধের এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি।

বুধবার তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমে এবার ইলিশ ধরার নিষিদ্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ থেকে ২২ আগস্ট। এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস সংশোধন নিষিদ্ধের সময় গত বছরই ৭ দিন বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়। এর আগে এ সময় ছিল ১৫ দিন। ২০১৫ সালের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন।

১ থেকে ২২ অক্টোবর ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ, মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।

মৎস্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, চন্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ৪ ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এবার ৫ অক্টোবর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমা।

এ কার্যক্রমের আওতায় ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাসহ সারাদেশে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করা হবে।

ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের সীমানা মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমদ্দিন থেকে পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গন্ডারমারা পয়েন্ট।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া এবং রাজশাহী জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।

নিষিদ্ধ সময়ে সারাদেশের মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ৎ, হাট-বাজার, চেইনসপে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা ।

মৎস্য বিভাগের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যা ব, বিজিবি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবে।

ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময়ে জেলেদের ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় চাল দেবে সরকার।