Sun, Nov 5 2017 - 12:03:56 PM +06

এবছরে হচ্ছে না‘বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব’ !


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

কিছুদিন পরেই নীতি-প্রণতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৭-এর গ্রান্ড ফিনালে। এই অনুষ্ঠান বন্ধে তামাকবিরোধীদের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। কর্মসংস্থান নয়, প্রচার-প্রচারণা এবং নীতিপ্রণেতাদের বিভ্রান্ত করাই “ব্যাটল অব মাইন্ড” এর আসল উদ্দেশ্য। বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে ব্রান্ড প্রমোশন, তরুণদের ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এবারের আয়োজন উপলক্ষ্যে কোম্পানিটি ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রোড শো অনুষ্ঠান শেষ করেছে। অধিকন্তুু এবছরে তারা ফেসবুক লাইভে এসে নতুন প্রজন্মকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছে।  উল্লেখ্য, গত ১৩ বছরে (২০০৪-২০১৬) বিএটিবি কর্মসংস্থানের নামে ২০-২২ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে মাত্র ১১০-১২০জনকে চাকুরি দিয়েছে। অথচ রোডশো, ভ্রমণ, বিনোদন, মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে ব্যয় করেছে কোটি কোটি টাকা। এবছরে ‘বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব’ হচ্ছেনা। এ আয়োজনে আর্মি স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ। উল্লেখ্য, বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবের সহ-আয়োজক আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমি (ICT-SRA) ভারতের বৃহত্তম তামাক কোম্পানি আইটিসি লিমিটেড এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান যেখানে বিএটি’র প্রায় ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কাজেই ICT-SRA এদেশে শুদ্ধ সংগীত নয়, বিএটি’র তামাক ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজ করে থাকে।
বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর আলোকে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। কারণ, ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে তামাক কোম্পানিই বড় বাধা।