হলি টাইমস রিপোর্ট :
সন্তান কন্যাই হোক বা পুত্রই হোক, সে ও একজন মানুষ। আমাদের মতন তার ও সব কিছু দেখার,করার,পাবার,ভাবার,অধিকার আছে । তারও আছে বাঁচার অধিকার। নিজ ভাষায় অবুঝ, অবলা শিশুটি নিজের অধিকারের কথা প্রকাশ করতে পারে না বলে আমরা আমাদের স্বার্থরক্ষা ও নিজেদের ভুল আড়াল করতে নিষ্পাপ, নির্মল শিশুটিকে নির্দ্বিধায় হত্যা করে চলেছি । কন্যা শিশু হত্যা হচ্ছে নিষ্টুরতার চরম বহি:প্রকাশ ।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে
কন্যা শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে নানা কারনে। যা একটি সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। নিম্নে তারই কিছু তথ্য দেওয়া হলো।
এক নজরে-
১। র্বতমানে ভারত ও চীনে খুব প্রকট এবং করুণ আকার ধারণ করেছে কন্যাশিশু হত্যা। যা একটি অমানবিক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
২। সাধারণ গর্ভপাত (Miscarriage বা অসুস্থতাজনিত কারণে) ও ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভপাত দুটি ভিন্ন জিনিস ।
৩। কেউ যদি গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্দিষ্টভাবে জানতে চায় তাহলে শিশুর বয়স অবশ্যই ২০ সপ্তাহের কাছাকাছি হতে হবে।
৪। গর্ভপাত একটি বীভৎস প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০ সপ্তাহ বয়সী গর্ভস্থ শিশুকে মারা হয় তাতে নিঃসন্দেহে শিশুটি প্রচণ্ড ব্যাথা পায় ও কষ্টে ছটফট করতে থাকে, তথাপি শিশুকে তিলে তিলে হত্যা করা হয়।
৫। গর্ভপাত ব্যবসা হচ্ছে বিলিয়ন ডলার ইন্ডাষ্ট্রি। গর্ভপাতের পক্ষে সমর্থনকারীরা ধর্ষণের মাধ্যমে গর্ভসঞ্চারণের ইস্যুটিকে ব্যবহার করে বস্তুত নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রয়াস চালায়, কেননা পশ্চিমা বিশ্বে মূলত ধর্ষিতার মানসিক কষ্টের দিকটি বিবেচনা করেই গর্ভপাতকে আইনগতভাবে বৈধতা দেয়া হয়েছে।
৬। কন্যাশিশু হত্যার পেছনে দারিদ্র্য ও অশিক্ষা সর্বাংশে দায়ী নয় বরং শিক্ষিত ও আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারেই কন্যাশিশু বেশী হত্যা করা হয়। ভবিষতে তা জেন আর না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
৭। যৌতুক ও কন্যাশিশু হত্যা ওতপ্রোতভাবে জড়িত তবে যৌতুক প্রথাই প্রধান কারণ নয়। কেননা বাংলাদেশ যৌতুক প্রথা প্রচলিত থাকলেও কন্যাশিশু হত্যা সচরাচর দেখা যায় না।
৮। ভারতে কন্যাশিশু হত্যার পেছনে বর্ণ প্রথা তথা হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের পরোক্ষ প্রভাব অনস্বীকার্য। যৌতুক প্রথার উৎপত্তি মূলত হিন্দুশাস্ত্র থেকেই হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশে কন্যাশিশু কম হত্যার পিছনে ধর্মের প্রত্যক্ষ প্রভাব অনস্বীকার্য।
৯। শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এই উপমহাদেশের যৌতুক প্রথাকে কমাতে পারেনি, যেটা ইউরোপে সফল হয়েছে।
১০। পশ্চিমা বিশ্বে কন্যাশিশু হত্যা নেই, আছে অপরিকল্পিত/অনাকাংখিত গর্ভধারণজনিত লিঙ্গ-নির্বিচারে গর্ভস্থ শিশু হত্যা। শুধু তা-ই নয়, এই অবহেলিত ও অনাকাংখিত হত্যাকৃত শিশুদের রক্ত মাংসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে Fetal Harvesting Firms ও কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি।
১১। এক নিষ্ঠুরতাকে দমন করতে যদিও আইন করা হয়েছে (Partial-Birth Abortion Ban Act), তথাপি আইনকে ফাঁকি দিতে আরো ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে।এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কন্যা শিশু ফাউন্ডেমনের ম্যানেজিং