Tue, Jan 9 2018 - 8:32:40 PM +06

কৃষি বাণিজ্যিক পর্যায়ের দ্বারপ্রান্তে


News Image





হলি টাইমস রিপোর্ট :

অচিরে বাংলাদেশের কৃষি বাণিজ্যিক পর্যায়ে রুপান্তর হবে। দেশের নাগরিকদের সফলতার সঙ্গে ভরণ- পোষণ পর্যায়  থেকে কৃষি বাণিজ্যিক পর্যায়ে রূপান্তরের দ্বারপ্রান্তে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় শস্য বিমা প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষির একটি নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল রক্ষা করতে কৃষক যতটা উদ্যোগী হয়, বিমা ব্যবস্থা চালু হলে কৃষক ততটা উদ্যোগী নাও হতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় শস্য বিমা চালুর ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রদেয় প্রিমিয়ামের সাকুল্য কিংবা অংশ বিশেষ সরকারের পক্ষ থেকে  দেওয়া হলে এবং পরবর্তীতে কোনো কারণে বিমা সুবিধা সংকুচিত করা হলে মাঠ পর্যায়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে ফসল উৎপাদন কমে গিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকার সারে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এছাড়া খামার যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহ দিতে সরকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সময় ভর্তুকি দেয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা সার ক্রয় করে থাকেন।
তিনি জানান, সারের আমদানি মূল্যে এবং কৃষক পর্যায়ে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যটি ভর্তুকি হিসেবে বিএডিসি ও বিসিআইসির ডিলার এবং বেসরকারি আমদানিকারকদের দেওয়া হয়। একইভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়েও কৃষকরা ভর্তুকি পায়।
চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, গত ২০১৬-১৭ বোরো মৌসুমে আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ লাখ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯১ দশমিক ৫৩ লাখ মেট্রিক টন। পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যার কারণে হাওর এলাকায় বোরো ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। গত অর্থবছরে বোরো মৌসুমে মোট উৎপাদন হয় ১৮০ লাখ মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।