Contact For add

Wed, Jun 28 2017 - 10:39:12 AM +06 প্রচ্ছদ >> ভ্রমন

There are crowds in tourist centers but there are no amenitiesপর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় থাকলেও সুযোগ-সুবিধা নেই

পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় থাকলেও সুযোগ-সুবিধা নেই

হলি টাইমস রিপোর্ট :

ঈদের ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখন দেশীয় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ উদযাপনের পর বহু মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে গেছেন এসব এলাকায়।

কক্সবাজারে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কতটুকু নিরাপদ পর্যটকরা? বেড়ানোকে আনন্দময় করতে সুযোগ সুবিধাই বা কতটা আছে?

এ নিয়েই কথা বলেছিলাম নানা জায়গায় বেড়াতে যাওয়া কয়েকজনের সাথে।

পেশায় চিকিৎসক রাজশ্রী দাশ এ মূহুর্তে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে। সৈকতে সময় কাটানোর পাশাপাশি ঘুরেছেন আশপাশের কিছু এলাকাতেও। এখন অবস্থান করছেন সৈকতের কাছেই একটি হোটেলে।

"হোটেলের পরিবেশ ভালোই। কিন্তু সৈকতে গিয়ে মনে হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঠিক ততটা জোরদার না।"

নিরাপত্তা নিয়ে এমন শঙ্কার মধ্যেও অন্তত তিন থেকে চার লাখ মানুষ এবার ঈদ উদযাপনের পর কক্সবাজারে ছুটে গেছেন বা যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সাগরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা তারা নিয়েছেন। তবে অনেক সময় চোখের আড়ালেই দুর্ঘটনা ঘটে যায় । কারণ সবাই নির্দেশনা মানতে চায়না।

কক্সবাজারের বাইরে সাধারণত পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে বেশি মানুষ বেড়াতে যায়। কিন্তু এবার পাহাড় ধ্বসে বিপর্যস্ত পাহাড়ে পর্যটক নেই বললেই চলে।

অবশ্য সিলেট অঞ্চলে জাফলংসহ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের নিরাপত্তা বিশেষ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন,"বিছানাকান্দি, জাফলং, লালাখাল, রাতারগুলে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স রাখা হয়েছে। স্পিড বোট ও রেসকিউ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকও রাখা হয়েছে"।

বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় সাগর সৈকত দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। সেখানেও প্রচণ্ড ভিড়। আশপাশের জেলাগুলো ছাড়াও ঢাকাসহ দূরদূরান্তের জেলা থেকেও ছুটে গেছেন অনেকেই।

কুয়াকাটায় পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত ইমতিয়া তুষার বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ না থাকলেও যাতায়াতের রাস্তাঘাটসহ কিছু সমস্যার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালটি বিভাগের অধ্যাপক শাকের আহমেদ বলছেন, পর্যটন স্পটগুলোকে নিরাপদ করার পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণে নানামুখী উদ্যোগ নিলে ঈদসহ ছুটির সময়গুলোতে আরও জমে উঠতে পারতো বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

তিনি বলেন, "শুধু কি সমুদ্র দেখার জন্য যাবে মানুষ? দেশিদের জন্য হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু বিদেশীদের জন্য প্রয়োজন নাইট লাইফের ব্যবস্থা করা"।

মিস্টার আহমেদের সাথে একমত ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব)এর সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদও।

তিনি বলেন, "লোকে কক্সবাজার বেশি যায়। এখানে হোটেল মোটেল আছে - কিন্তু বিনোদনের কিছু নেই। উপরে আকাশ আর সামনে পানি"।

তবে ঠিক কত মানুষ সারাবছর বা ঈদের সময়টাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে যায় তার সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে টোয়াবের ধারণা বছর জুড়ে ভ্রমণ করেন প্রায় দশ লাখ দেশী পর্যটক, যার বড় অংশই ভ্রমণ করে ঈদের মতো উৎসবের সময় পাওয়া লম্বা ছুটির সময়ে।

যদিও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং টোয়াবের কর্মকর্তারা বলছেন এ মুহূর্তে দেশের সব হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট মিলিয়ে দিনে সর্বোচ্চ দেড় লাখ মানুষের থাকার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু যে বিষয়টির সবচেয়ে বড় সংকট রয়েছে সেটি হলো পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকা। খবর বিবিসির



Comments