Contact For add

Wed, Jun 28 2017 - 1:19:46 PM +06 প্রচ্ছদ >> ভ্রমন

Overflow crowd at tourism and recreation centers in Bagerhatবাগেরহাটে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়

বাগেরহাটে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়

হলি টাইমস রিপোর্ট :

ঈদের ছুটিতে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, ঘোড়া দিঘি, খানজাহান (র:)`র মাজার, সুন্দরবন রির্সোট ও পৌর বিনোদন পার্কে জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ। বাগেরহাট জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকেও অনেকেই এসেছেন খানজাহানের পুরাকৃর্তি দেখতে। ঈদের পর দুইদিন ধরে থেমে থেমে কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেও পরিবারের সদস্যদে নিয়ে বাগেরহাটের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে বের হয়েছে নঅসংখ্য মানুষ।

 

বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহানের মাজার ও সুন্দরবনে বছর জুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তবে ঈদের ছুটিতে বাগেরহাটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

ঈদে বেশ কয়েক দিন ছুটি থাকায় কর্মস্থল চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি রামপালে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছেন রুহুল শেখ। ছোট বেলার দুই বন্ধু রতন ও রাজ্জাককে নিয়ে বাগেরহাট ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে এসেছেন তিনি।

তিনি জানান, সকালে রামপাল থেকে দুই বন্ধুকে নিয়ে বের হন। এবার তারা ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ছেন। আজও তারা এখানে ঘুরতে এসেছেন মসজিদ প্রাঙ্গণ ও ঘোড়া দিঘি দেখার পর খানজাহানের মাজার জিয়ারত করে বাড়ি ফিরবেন।

কথা হয় ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চুর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাগেরহাট জেলার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামায়াত প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে হয়ে থাকে। এবছরর তিনটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগেরহাট জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অনেক জেলার মানুষ এখানে যুগ যুগ ধরে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন। হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি ঈদ জামায়াতকে ঘিরে এখানে এক অন্য রকম ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করে।

তিনি বলেন, দিন দিন যেন ঈদের নামাজে মুসল্লির সংখ্যা বেড়েই চলছে। দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা আরও কয়েকদিন এখানে আসবেন বলে জানান তিনি।

প্রশান্তির পাশাপাশি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সকলের সঙ্গে ঘুরে দেখের সূবর্ণ সুযোগ যেন কেউই হাতছাড়া করতে চান না। শুধু বাগেরহাট জেলার মানুষই নয় ঈদের লম্বা ছুটিতে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও এখানে বেড়াতে আসে মানুষ।

খানজাহানের ষাটগম্বুজ মসজিদের নির্মাণ শিল্প, যাদুঘরে রাখা সুলতানী আমলের জিনিষপত্র দেখার পাশাপাশি ষাটগম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন বিশাল ঘোড়া দিঘির চার পাশের নৈশর্গিক দৃশ্য উপভোগ করেন তারা। আর এ সুযোগে স্থানীয়রা ঐতিহাসিক ঘোড়া দিঘির পাড়ে বিভিন্ন পশরা নিয়ে বসেন। শিশুদের জন্য হরেক রকম পণ্য বিক্রির পাশাপাশি গজা, চমচম, দানাদার, বাতাসা, জিলাপি, পাপড়সহ নানান খাদ্য কিনে থাকে এখানে বেড়াতে আসা সাধারণ মানুষ।

ঈদের ছুটিতে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক বিনোদন কেন্দ্র ছাড়াও সুন্দরবন রির্সোট, দশানী পৌর পার্কে বিভিন্ন রাইডে শিশু কিশোরকে দল বেধে ঘুরতে দেখা গেছে। এখানকার আকর্ষণীয় রাইডে চড়ার পাশাপাশি শান্ত প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটাতে শহরের হাজার মানুষ ঈদের দিন থেকে পরবর্তী বেশ কয়েকদিন এসকল বিনোদন ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে জড়ো হবে বলে জানান দশানী পৌর বিনোদন পার্কের দায়িত্বে থাকা শেখ মুজিবর রহমান।

তিনি বলেন, তার ছেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন এই পার্কটি লিজ নেওয়ার পর বিনোদনের জন্য ঢাকা থেকে আকর্ষণীয় অনেক রাইড এনেছে। অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখানকার রাইডে চড়তে আসেন।



Comments