Contact For add

Mon, Aug 28 2017 - 3:11:10 PM +06 প্রচ্ছদ >> দেশের খবর

The farmers are increasingly suffering due to sluice gate in Chitalmariচিতলমারীতে স্লুইস গেটের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে চাষিদের

চিতলমারীতে স্লুইস গেটের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে চাষিদের

কপিল ঘোষ, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের চিতলমারীতে চাষাবাদে সুবিধার জন্য নির্মিত স্লুইসগেটগুলো কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। গেটের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। এতে জোয়ার-ভাটার পানি ঠিকমত ওঠা-নামা করতে না পারায় ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন চাষিরা।
রায়গ্রামের চিংড়ি চাষি নিরাপদ অধিকারী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যাবস্থাপনা ও গাফিলতির কারণে এলাকার স্লুইস গেট গুলি অকেজো হয়ে  আছে। এগুলি এখন  চাষিদের উপকারের বদলে সর্বনাশ  ডেকে আনছে। এলাকার অধিকাংশ গেটের মুখ বন্ধ থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমি ও শত শত চিংড়ি ঘেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। এছাড়া অনেক স্থানে গেটের  দরজা সারাবছর  খোলা থাকে  এতে  অবাধে লবণ পানি ঢুকে ফসলের  ব্যাপক ক্ষতি হয়।  
চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাখরগঞ্জ, খিলীগাতি, বাঁশতলা, নারাণখালী, কুঁচেমোড়া, ডুমুরিয়া,পাড়ডুমুরিয়া, খড়িয়া, গোদাড়া, কাঠিপাড়া, আদিখালীসহ   বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি ও চিংড়ি ঘেরের পানি ওঠা-নামার জন্য নদী ও খাল সংলগ্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত স্লুইস গেট রয়েছে। যার অধিকাংশ  এখন  পানিউন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। আর  এসব গেটের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করছেন এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীরা। এসব স্লুইস গেটের মুখ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় পানি বদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া জোয়ার-ভাটার পানি  ঠিকমত ওঠা-নামা করতে না পারায় চরম ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন চাষিরা। এ অবস্থায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে শত শত চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি। ফলে এলাকার শত শত চাষিদের এখন দুর্ভোগের অন্ত নেই। ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন চাষিরা। বিষয়টি যেন  দেখার কেউ নেই এমন অবস্থা।
চিতলমারী সদর ইউপি  চেয়ারম্যান শেখ  নিজাম উদ্দিন জানান, স্লুইস গেটগুলি  এলাকার চাষাবাদে কাজে  আসবে বলে বসানো  হয়েছিলো  কিন্তু  এখন  এগুলি  উপকারে  আসা  দূরে থাক এলাকার  চাষিদের ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এর জন্য  তিনি পানি  উন্নয়ন  বোর্ডের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতিকে  দায়ী করেন।
এ বিষয়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, তার  দপ্তরে লোকবলের সংকট থাকায় এসব স্লুইট  গেটের তদারকি করতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে অকেজো স্লুইস  গেট মেরামতসহ নানা উন্নয়নের পরিকল্পনা  হাতে  নেওয়া  হয়েছে বলে  অভিমত দেন।

 



Comments