Contact For add

Thu, Sep 7 2017 - 2:47:07 PM +06 প্রচ্ছদ >> পরিবেশ

'Dhumrajal' with the resignation of the Proctor of 14 and the provincial governor of the hallঢাবির প্রক্টর ও ১৪ হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে ‘ধূম্রজাল’

ঢাবির প্রক্টর ও ১৪ হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে ‘ধূম্রজাল’

হলি টাইমস রিপোর্ট :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর লঙ্ঘন হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে প্রায় ১৪ হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগ নিয়ে ‘ধূম্রজাল’ তৈরি হয়েছে।

সদ্য বিদায়ী উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকপন্থীরা বলছেন, ৪ সেপ্টেম্বর তারা উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও তিনি তা গ্রহণ করেননি।

তবে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জান

বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো পদত্যাগপত্র পাননি। স্বাভাবিকভাবে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর এমন পদত্যাগপত্র বর্তমান উপাচার্যের কাছেই দেয়ার কথা। কিন্তু তা না মেনে আরেফিন পন্থী শিক্ষকরা পদত্যাগপত্র সদ্য বিদায়ী উপাচার্যের কাছে দিয়েছেন। তাই এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এছাড়া পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার দু’দিন পর বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় এটি রহস্যজনক বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাস্টার দা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জাগো নিউজকে বলেন, এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এগুলো গুজব।

গত ৪ সেপ্টেম্বর আরেফিন সিদ্দিক বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে তারা লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর লঙ্ঘন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীর মিথ্যাচার ও দ্বৈতাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’

পদত্যাগপত্র পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

বলেন, প্রায় সব হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিম আমার কাছে গত ৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র নিয়ে আসেন। তবে আমি তা গ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমি তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে বলেছি।

পদত্যাগ চেয়ে আবেদনের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ৭৩’ এর অধ্যাদেশ না মেনে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ায় আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। তবে উপাচার্য তা গ্রহণ না করে আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য চালিয়ে যেতে বলেছেন। তাই আমরা পুনরায় দায়িত্ব পালনে কাজ করছি।

তবে পদত্যাগের দু’দিন পর বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে বিতর্কের কিছু নেই।

প্রসঙ্গত, আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আখতারুজ্জান কে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন।

এদিকে ঢাবি ভিসি নিয়োগে বিতর্ক প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, ভিসি নিয়োগে বিতর্ক থাকলেও আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। রাষ্ট্রপতি তার নিজ ক্ষমতাবলে আইনি প্রক্রিয়ায় সাময়িকভাবে ভিসি নিয়োগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি এটা করতে পারেন। সংবিধান তাকে এ ক্ষমতা দিয়েছে।সূত্র:জাগোনিউজ২৪.কম,



Comments