Contact For add

Sat, Sep 9 2017 - 4:10:59 PM +06 প্রচ্ছদ >> স্বাস্থ্য

Eye-elbow enemy smartphone!চোখ-কনুই-ঘাড়ের শত্রু স্মার্টফোন!

চোখ-কনুই-ঘাড়ের শত্রু স্মার্টফোন!

হলি  টাইমস রিপোর্ট :

বর্তমান যুগে বেঁচে থাকার অন্যতম মাধ্যম স্মার্টফোন। হাতের মুঠোয় দুনিয়া ধরতে নিত্যসঙ্গী স্মার্ট ফোন।ভিডিও কলে কথা বলা,  ফেইসবুক ব্যাবহার,ইউটিউবে ভিডিও দেখা, মেসেজ করা, ভিডিও গেম খেলা, খবর পড়া বা ছবি তোলার কাজে ব্যাবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন।স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলে না।
কিন্তু প্রযুক্তির এই লাগামহীন ব্যবহারই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী বলে দাবি চিকিৎসকদের। অতিরিক্ত ‘টাচ’ ফোন ব্যবহারের জন্য কনুই, চোখ, ঘাড়ের নানা সমস্যায় ভুগছেন ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ছেলে- মেয়েরা। বিগত পাঁচ বছরে এই ভুক্তভোগীর সংখ্যা কম পক্ষে ২৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত ভাঁজ করে অতিরিক্ত সেলফি তুললে কনুইয়ের কাছে ব্যথা হতে পারে। চিকিৎসকেরা একে ‘সেলফি ড্যামেজ’ বলছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাতের বুড়ো আঙুল কাজে লাগানো হয়। অত্যধিক ‘টাচ’ ফোন ব্যবহারের জেরে অনেকের বুড়ো আঙুলের স্নায়ুগুলো ঠিক মতো কাজ করছে না। এমনকি অনেকে বুড়ো আঙুলে কোনও সাড়া পায়না।
অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের জেরে স্নায়ুর সমস্যাও হচ্ছে। ফোন থেকে নির্গত রশ্মি শুধু হাত নয়,সারা শরীরের স্নায়ুর পক্ষে ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার চোখ এবং ঘাড়ের ক্ষতি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নীচু করে ভিডিও গেম খেলা বা সিনেমা দেখার ফলে ঘাড়ের যন্ত্রণায় ভুগছেন অনেকেই।
 
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ফোনের উজ্বল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ থেকে জল পড়তে থাকে, মাথা ব্যথা হয়, চোখের চারপাশ ভারী হওয়ার পাশাপাশি চোখের পলক পড়া কমে যায়। কারণ, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় নিয়ম মতো মিনিটে ১৫ বার পলক পড়েনা। এতে চোখের সামনের ঝাপসাভাব বাড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে।
অধিক সময় ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফোনের উজ্বলতা কমিয়ে রাখার পরামশ চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের। এসএমএস কিংবা বিভিন্ন মেসেজ অ্যাপের ‘ফন্ট সাইজ’ বা অক্ষরের মাপ বড় করে রাখা দরকার।কাজের জন্য দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হলে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ২০ ফুট দূরের কোনও জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড তাকানো উচিৎ।
ক্রমশ বাড়তে থাকা এই সমস্যায় সমাধানের জন্য সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া অন্য পথ নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কেননা দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইল। মোবাইল ব্যবহারের তথ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা দশ(১০) কোটির বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি চারজন ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন অর্থাৎ ২৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে।২০২১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তখন মোট ব্যবহারকারীর ৬০ শতাংশের হাতে এই ফোন থাকবে। মুঠোফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ এমন হিসাব দিয়ে বলছে, নতুন স্মার্টফোনের ব্যবহার বদ্ধিতে শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ৭ নম্বরে থাকবে বাংলাদেশ।


Comments

Place for Advertizement
Add