Contact For add

Wed, Sep 13 2017 - 11:18:53 AM UTC প্রচ্ছদ >> অন্যান্য

Ram Rahim found the body of the pet poisoned the body!রাম রহিমের লালসা মেটাতে শরীর খুঁজে দিত পোষা বিষকন্যারা!

রাম রহিমের লালসা মেটাতে শরীর খুঁজে দিত পোষা বিষকন্যারা!

হলি টাইমস রিপোর্ট :

যত কাণ্ড রাম রহিমের ডেরায়। কীর্তির শেষ নেই ভণ্ড বাবার। নিজের ডেরায় অপরাধের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল সে। আর এই সাম্রাজ্যে রাজত্ব করার জন্য রাম রহিম তৈরি করেছিল মহিলা গুণ্ডাবাহিনী। এক সময় যে সমস্ত মহিলারা গুরমিতের যৌন লালসার শিকার হত তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হত এই বিশেষ দেহরক্ষীদের। যাদের বলা হত বিষকন্যা। মায়া-মমতা কোনও কিছুই নাকি ছিল না রাম রহিমের এই গুণ্ডাবাহিনীর। রীতিমতো মগজ ধোলাই করা হত এদের। বোঝানো হত ঈশ্বরের দূত রাম রহিমের ইচ্ছেপূরণের জন্যই এদের জন্ম হয়েছে।

এদের কাজ ছিল, ডেরায় আসা মহিলা ও কিশোরীদের মধ্যে থেকে সুন্দরীদের বেছে নেওয়া। তারপর তাঁদের তুলে এনে ভণ্ড বাবার বিছানায় ফেলে দেওয়া।

যুবতী ও কিশোরীদের আর্ত চিৎকারেও মন গলত না এই মহিলা দেহরক্ষীদের। ভাবলেশহীনভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তারা। মাঝে মধ্যে নাকি গুরুর ইচ্ছেমতো তার শয্যাসঙ্গীও হত। এমনকী, রাম রহিমের জন্য রান্না করা, নোংরা জামাকাপড় কেচে দেওয়ার মতো কাজও করত।

রাম রহিমের গ্রেপ্তারির পর থেকেই সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁর অনেক প্রাক্তন অনুরাগী। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেও ভুক্তভোগী। ধর্ষক বাবার এক প্রাক্তন মহিলা দেহরক্ষীর কথায়, প্রত্যেকদিন রাতে রাম রহিমের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন হত। সেই চাহিদা মেটাত এই বিষকন্যারা। আর বাবার ইচ্ছে পূরণ না করতে পারলে বিষকন্যাদেরই নিজেদের শরীর দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হত। গুরমিতের গুহার বিষয়ে বাইরে মুখ বন্ধ রাখতে হত। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখত বিষকন্যারাই।

গুরমিতের ডেরার এমন স্থান গুলিতেই সার্চ অপারেশন চালিয়ে ছিলেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গিয়েছি রাশি রাশি কন্ডোম ও আপত্তিকর জিনিসপত্র। অবৈধভাবে চালানো হাসপাতালে বৈআইনি গর্ভপাত করানো হত বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত নাকি ভণ্ড বাবা এই কীর্তি চালিয়ে গিয়েছে।সূত্র:আনন্দবাজার



Comments