হলি টাইমস রিপোর্ট :
মাত্র ২২ সপ্তাহে জন্ম হয়েছিল শিশুটির,ওজন ছিল মাত্র ৬২০ গ্রাম। তখনও ফুসফুস ঠিক মতো আকার ধারণ করেনি। শুধু ছোট্ট হার্টটি ধুকপুক করছিল। ৪ মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর অবশেষে সেই শিশুটি বাড়ি ফিরল। এখন তার ওজন ৩.৮ কিলোগ্রাম।
ভারতের মুম্বইের সান্তাক্রুজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নির্বাণের। মাতৃগর্ভে তখন তার বয়স মাত্র ২২ সপ্তাহ। হঠাৎই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় নির্বাণের মা রীতিকার। রীতিকার প্রাণ বাঁচাতে দ্রুত প্রসবের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মাত্র ২২ সপ্তাহে তো ঠিকমতো কোনও অঙ্গ পরিণত হয় না! শিশুটিকে বাঁচানো নিয়ে তাই সংশয়ে ছিলেন চিকিৎসকদের। তবে হাল ছাড়েননি তাঁরা। নর্ম্যাল ডেলিভারির পর মাত্র ৬২০ গ্রাম ওজনের শিশুটিকে হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে একটি ইনকিউবেটরের মধ্যে রাখা হয়।
রীতিকার চিকিৎসক সেজল দেশাই জানান, শিশুটির ফুসফুস ঠিক মতো কাজ করছিল না। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিল না ও। ভেন্টিলেটরের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা হয়। এই ভাবে ইনকিউবেটরের মধ্যে ১২ সপ্তাহ রাখা হয় ওই শিশুকে। তারপর ইনকিউবেটর থেকে বাইরে আনা হয়। তাকে ঘিরে ২৪ ঘণ্টা চলত চিকিৎসকদের কড়া নজরদারি।
ম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়েছে শিশুটির। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ। আলাদা করে কোনও ওষুধ বা যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই হাসছে, খেলছে।
রীতিকা বলেন, ‘‘নির্বাণ নামের অর্থ পরম আশীর্বাদ। ঈশ্বরের আশীর্বাদেই আমরা ওকে ফিরে পেয়েছি। তাই সে-ই আমাদের নির্বাণ।’’
চিকিৎসকেরা জানান, এক পরিণত শিশুর জন্মের জন্য ৪০ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে থাকাটা জরুরি। ২৮ সপ্তাহের আগে মাত্র এক শতাংশ শিশুর জন্ম হয়। এই শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ০.৫ শতাংশ। সেই অসাধ্যই সাধন করল মুম্বইয়ের হাসপাতাল।সূত্র:আনন্দবাজার