Contact For add

Wed, Nov 1 2017 - 8:59:37 PM UTC প্রচ্ছদ >> অন্যান্য

Foreign boy is not a golden deer!বিদেশি ছেলে মানেই সোনার হরিণ নয় !

বিদেশি ছেলে মানেই সোনার হরিণ নয় !

সাগরিকা মন্ডল :

আমাদের অনেক বাবা-মা এখনো কিশোরী বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিতে আগ্রহী। বেশিরভাগ বাবা-মা বিদেশী ছেলে পেলেই কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ফেলেন। এ মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।আমি সমাজ সংস্কারক না কিন্তু চেষ্টা করি নিজে ঠিক থেকে যেন সমাজটাকে কিছু দিতে পারি ।আমাদের চারিদিকে এত অসামাজিক কাজ হচ্ছে যা হয়ত আমরা সবাই জানি কিন্তু অনেকে বলি ,প্রতিবাদ করি আর কেউ কেউ হয়ত আমার মত তাকিয়েই থাকি আর আক্ষেপ করি কিছু না করতে পারার যন্ত্রনায় ।
আজ তেমনি কিছু ঘটনা তুলে ধরব কিছু নীরব যন্ত্রনা কাতর বাংঙ্গালি আপুদের জীবন থেকে যা কিনা আমার নিজ চোখে দেখা ও শোনা।

ঘটনা ১ : আমার পরিচিত এক আপু আছে যার নাম ধরলাম ডলি ।আপু র ব্যাকগ্রাউন্ড আগে বলি ।আপু ঢাকা এক সুনাম ধন্য  থেকে অনার্স মাস্টার্স করছে অর্থনীতির ওপর ।আপুরা ৩ বোন  ভাই নাই আপুর বিয়ে হয় প্রবাসি এক ছেলের সাথে ।ছেলের ঢাকায় বাড়ী আছে ,মালয়েশিয়া থাকে, আর কী চাই ।বিয়ের বাজারে এর চেয়ে ভাল পাএ আর কই ।কিন্তু আপু বেকে বসল ,এই কারনে যে ছেলের লেখাপড়া কতটুকু তা জানা চাই ।ছেলের বাড়ীতে খোঁজ পাঠানো হল ছেলের পড়া লেখা সম্পর্কে জানার জন্য ।ছেলে আপুকে তার অনার্স এর সনদপএ দেখায় যা কি না ছেলেটি মালয়েশিয়া থেকে অর্জন করে ।আপু বিয়েতে রাজী হয় ।ছেলে মালয়েশিয়া এর ই এক ভিসা কলেজ থেকে সনদপএ কিনে নিয়ে যায় দেশে যা কি না আপু সত্যি ভেবেছিল ।আজ থেকে ৫ বছর আগে আপুর বিয়ে হয় ।এখনও তার সাথেই আছে ,হয়ত সমাজ এর কথা ভেবে ।ঐ ছেলে আপুকে প্রায়ই বলে এত পড়ালেখা করে কী করলা ,মাথায়তো কিছুই নাই ।
আবার বলে ,তোমাকে বিয়ে করছিলাম এই চিন্তা করে যে তোমারে দিয়া কানাডায় পারমানেন্ট রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করাবো বলে ।

ঘটনা ২ : আমার এই আপুটার নাম দিলাম জয়া ।আজ থেকে ৪ বছর আগের ঘটনা ।আপু কিশোরগঞ্জ এর এক সনামধন্য কলেজ  থেকে পড়া শেষ করেচে ।তিন বোন । বাবা নাই সব বন্ধুরা যখন মানব সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতেছিল তখন আপু নিতেছিল স্বামীর সেবা করার প্রস্তুতি ।এক সময় কোনো না কোনো কারনে তার স্বামীকে ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি ।হ্যা ,কথা গুলো একটুও মিথ্যা না ।এরপর কিছুদিন পর এক ইটালিয়ান ছেলের সাথে প্রেমে জরান তিনি ।ছেলের বাড়ি বি বাড়িয়ার মেড্ডা পাড়ায়  । সাহা পরিবারে জন্ম । বাবা নাই । মা আর এক বোন ও এক ভাইকে নিয়ে তার পরিবার ।বোন মনিকে আনেক আগেই বিযে দিয়েছেন বলে জানিয়েচেন আপু ।গত ২বছর হলো ভাই সুমনকে ও বিযে করান তিনি । ঐ ছেলে তাকে ইটালিতে নিয়ে যাবার আসস্ত করেন ও তাকে বিয়ে করবেন বলে কথা দেন ।এভাবে জয়াকে তার প্রতি বিশ্বাস করার সুযোগ আনান । আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে এফবি ,ইমোতে স্বামী স্ত্রী ভাব তৈরি হয় ।বিভিন্ন্ ছবি ও আদান প্রদান হয় । আপু তাকে বিশ্বাস করে তার সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয় । কিছুদিন পর ছেলে সম্র্পকে খোজঁ নিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত ও একটা মেয়ে আছে । আরো জানতে পারে সে ছাড়াও আরো নানা মেয়েদের সাথে সে অনুরুপ আচরণ করে ।বিয়ে করার নামে তাদের সাথে অভিনয় করে ।নানা ছবি,আদান প্রদান তথা সময় কাটানো এটা তার একটা নেশায় ওবটে।

 


আপু জানতে চান,  যে ছেলের এমন স্বভাব কী করে একজন ডাক্তার তার মেয়েকে এমন ছেলের কাছে বিয়ে দিলেন ? নাকি বিদেশী চেলে দেখে আর লোভ সামলাতে পারলেন না  ।আমার দেশে এমন আনেক পরিবার আছে যারা মনে করেন বিদেশি ছেলে মানে সোনার হরিণ ।আপু জানতে পারেন তার বউ তার খাবাপ স্বভাব জানতে পরে তার ২০ লাখ টাকা নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে ছিল এ বছর মেয়েসহ ফিরেছে । আর এ কথা ঐ ছেলেই তাকে জানিয়েছে । আর এ কথা শিকার জান যখন আপু জানতে পারে সে বিবাহিত ও মেয়ে আছে তারপর ।ঐ ছেলে আপুকে বলে,তুমি বিশ্বাস কর আমি জানতাম না সে ফিরে আসবে । কিন্তু আপু এটাও জেনে গেছে এধরনে কথা বলেই সে আরো মেয়েদের সাথে এখনো অভিনয় করে যাচ্ছে । তিনি বলেন ,চাইলে তার প্রমান ও তিনি দিতে প্রস্তুত ।তার একটি মাত্র কথা না জেনে কেউ বিদেশিদের ফাদে পা দিবেন না।

একটা ভুল সারাটা জীবন নষ্ট করতে পারে ।নষ্ট করতে পারে আপনার বিশ্বাসকে । আপনার ভালোবাসার আস্তাকে হারিয়ে দিতে পারে চিরদিনের জন্য ।

তো সবাইকে আমি এতটুকুই বলব বিদেশি ছেলে হলেই ভাল হবে এমনটি নয় ।
জেনে শুনে তার পর আপনার মেয়েটিকে ,বোনটিকে বিয়ে দিন ।


 



Comments