অনেক জায়গায় মাসকালাই ছাড়া অন্য ডালও ব্যবহার করে। অসময়ে, যখন কুমড়ো পাওয়া যায় না তখন কোথাও কোথাও কুমড়ো ছাড়াই শুধু ডালের বড়ি বানায়। অনেকেই কুমড়োর বদলে পেঁপে, মূলা, বাঁধাকপি বা কচুও দিয়ে থাকে।
অনেক জায়গায় মাসকালাই ছাড়া অন্য ডালও ব্যবহার করে। অসময়ে, যখন কুমড়ো পাওয়া যায় না তখন কোথাও কোথাও কুমড়ো ছাড়াই শুধু ডালের বড়ি বানায়। অনেকেই কুমড়োর বদলে পেঁপে, মূলা, বাঁধাকপি বা কচুও দিয়ে থাকে।
কিভাবে তৈরি করবেন কুমরোর বড়ি :
খোসা ছাড়ানো ডাল বা ডালের গুঁড়ো আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন ভোরে সেই ডাল শিল-পাটায় পিষে পাকা কুমড়োর শাঁস মিশিয়ে খুব ভালো করে ফেঁটিয়ে নিতে হয়। খুব ভালোভাবে মিশে গেলে, মাছধরা জাল বা মশারির ওপরে ছোট ছোট করে বড়ি বসায়। এগুলো দেখতে অনেকটা ছোট্ট গম্বুজের মতো। একপিঠ শুকিয়ে গেলে বড়ি উল্টে অন্য দিকটাও শুকাতে হয়। শুকিয়ে গেলে হয়ে গেল বড়ি।
এবার বোয়ামে ভরে রেখে দাও। সারা বছর ধরে খাওয়া যায় এ বড়ি। মাছের বা সব্জির সাথে বড়ির ঝোল দারুন মজার।শীতে বানানো বড়ি খুব ভালো করে শুকিয়ে না নিলে সারা বছর ভালো থাকে না। তারপরেও বর্ষার পরে ফের রোদে দিতে হয়। না হলে শীত আসার আগেই নষ্ট হয়ে যায় বড়ি।
শীতে বড়ির তরকারি খেতে খুব মজা। এখন শহরের বাজারেও বড়ি কিনতে পাওয়া যায়। বাজারে ২০-২৫ টাকায় ১০০ গ্রাম বড়ি কিনতে পাওয়া যায়। বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্যে আটা ভাঙা মিলে ডাল গুঁড়া করে কুমড়োর বদলে যেকোনো সব্জির সাথে মিশিয়ে যেনতেন ভাবে তৈরি হচ্ছে বড়ি। কারণ পাকা চাল-কুমড়োর বেশ দাম। বাজারের বড়িতে নিজের বাড়িতে বানানো বড়ির স্বাদ-গন্ধ কিছুই মেলে না।
কুমড়ো বড়ি তৈরি করে যেমন সমাজের ব্যাকারত দুর হচ্ছে। তেমনি বেশী লাভ থাকায় দিনে জন প্রিয় হয়ে উঠছে এই কুমড়ো বড়ি তৈরি।