Contact For add

Tue, Nov 7 2017 - 1:03:06 PM +06 প্রচ্ছদ >> অর্থ ও বাণিজ্য

What is the purpose of saving!কেন সঞ্চয়ের দরকার হয় এর উদ্দেশ্য কি!

কেন সঞ্চয়ের দরকার হয় এর উদ্দেশ্য কি!

সাগরিকা মন্ডল :

 

ভবিষৎ  নিরাপত্তা  বিধান,আয় বাড়ানো ইত্যাদির জন্য  সঞ্চয়ের দরকার হয়। আয়ের মধ্যে ব্যয়ের সীমাবদ্ধ রেখে ভবিষৎের জন্য কিছু কিছু অর্থ বাচানোর নামই হলো সঞ্চয় ।আর প্রত্যেকের জীবনে সঞ্চয়ের কিছু না কিছু উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে । দেখা যায় কারো কারো উদ্দেশ্য একই ধরনের হতেও পারে ।আয়ের যে অংশ বর্তমান ভোগের জন্য ব্যবহার না করে ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়, তাকে সঞ্চয় বলে। অর্থাৎ মোট আয় থেকে ভোগের নিমিত্তে ব্যয় করে যা অবশিষ্ট থাকে, তা-ই সঞ্চয়। যেমন ধরা যাক, কোনো ব্যক্তির মাসিক আয় পাঁচ হাজার টাকা। তিনি তা থেকে তিন হাজার টাকা বর্তমান ভোগের কাজে ব্যয় করে এবং দুই হাজার টাকা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেয়। এই দুই হাজার টাকাই হলো সঞ্চয়। সুতরাং আয় থেকে বর্তমান ভোগ ব্যয় বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে সঞ্চয় বলে। অরলি এম. অ্যামোস, জুনিয়রের মতে, ‘সঞ্চয় হলো ব্যয়যোগ্য আয়, যা ভোগ ব্যয়ে ব্যবহূত হয় না।

টাকা-পয়সার লেনদেন কিংবা সঞ্চয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনা হলেই আমরা অধিকাংশ জন বিভিন্ন গুরুগম্ভীর কথায় ঢুকে পড়ি। শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, এসআইপি, বন্ড (ঋণপত্র)— এমন আরও কত কী। কিংবা নিদেনপক্ষে আড্ডায় উঠে আসে পিএফ, পিপিএফ, ফিক্সড ডিপোজিটের মতো প্রকল্প। কিন্তু সেখানে সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে চর্চা তেমন শুনিনি।

আসলে অনেকেই মনে করেন, সেভিংস অ্যাকাউন্ট আবার তেমন কী? ও তো সকলেরই থাকে। ব্যাঙ্কে একখানা অ্যাকাউন্ট খোলার পরে সেখানে কিছু টাকা ফেলে রাখলেই হলো। এর সঙ্গে আর যা-ই হোক, সঞ্চয় কৌশলের কোনো সম্পর্ক নেই। জানুন তবে কেন সঞ্চয়ের দরকার হয় ।

 

 

সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য :
১। অবসর কালিন নিশ্চয়তা – কোনো মানুষেরই জীবনে সমানভাবে আয় করার ক্ষমতা থাকে না। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে জলবায়ুর কারনেই ৪০ বছরের পরে খুব বেশি রোগব্যাধির আক্রান্ত হয় ।ফলে উপার্জনের বিভিন্ন্ উপায়ই কমে যায়্ । পরিবারের এহেন ।আর্থিক র্দুদিনে কেউ এগিয়ে ওআসে না ।অথচ সঞ্চিত অর্থ কিছুটা হলে ও পরিস্থিকে নিয়ন্তনে রাখে ।
২। রোগ ব্যাধির সহায়ক- রোগ শোক কাউকে বলে কয়ে আসে না হঠাৎ করেই রোগ ব্যাধির জন্ম হয় । এসময় এমন হয় মধ্যবিত্ত ,নিম্নবিত্ত অনেকেই জমি জমা সব বিক্রি করে দিতে হয় ।অথচ যদি আয়ের ১০ % সঞ্চয়ের জন্য রাখা হয় তা হলে অনেকটাউ চাপ কম পরে ।অতবা জমি বিক্রির মত চাপে পড়তে হয় না।
৩। ঘরবাড়ি তৈরি – মানুস কোনো না কোনো আশ্রয় অবলম্বন করে বেচে থাকে ।সামাজিক ও ব্যক্তি সত্তার বিকাশকরিী আশ্যয় হলো গ্রহ । আর এটা তৈরি বা সজ্জা ই হোক না কেন উভয়ের জন্যই প্রচুর অর্থের দরকার হয়।
৪। ছেলেমেয়ের খরচ- আনেকেই আজকাল বিমা কোম্পানিতে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার জন্য ১০-১৫ বছর মেয়দি বিমা করেন ।তাদের উদ্দেশ্য হলো ঐ ছেলেমেয়েরা যখন বড় হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করবে তখন অর্থের যোগান দেয়া ।
৫। উর্পাজনের উৎস – তিলে তিলে জমানো অর্থ সুদে -মুলে এক সময় বিরাট অংকের অর্থের রুপান্তরিত হয় । মাসের প্রথম দিকে বেতন পেয়েই বা ব্যবসার আয় থেকে সামন্য অর্থ জমা রাখলেই তা এক সময় অবশ্যই বিশেষ কাজে দেয় ।
৬। স্বাস্থ্যগত অক্ষমতায় সহায়তা – মানুষের প্রতিদিন পথে ঘাটে নানাভাবে কোনো না কোনো বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে, এমন সময় আছে কাছের জিনিস ও অন্য দিকে পিরে তাকায় এ সময় সঞ্চয়কৃত  অর্থই এক মাএ সংঙ্গ দেয় ।
৭। মিতব্যয়িতা শিক্ষা দেয়া- মাসের আয় থেকে কিছু  অর্থ জমা করলে পরিবার  একটু কষ্টে কাটায় । তবে এভাবে সঞ্চয় কররে খরচ একটু কম করার অভ্যাস গড়ে ওঠে । সঞ্চয় এক প্রকার অসময়ের বন্ধু ওবটে। বেশি বেশি সঞ্চয় পর জীবনের আস্তা হয় ।

 



Comments

Place for Advertizement
Add