হলি টাইমস রিপোর্ট :
চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরী সভা আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেবিনেট ডিভিশন, বিটিআরসি এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পূর্বের সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর থাকবে।এছাড়া প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত বা ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। পরীক্ষা মনিটরিং ও প্রশ্ন ফাঁস এবং পরীক্ষা যথাযথ হয়েছে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আলমগীর-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধেদেও সমন্বয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ভিজিল্যান্স টিম আরো জোরদার করা হবে। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘন্টা আগে প্রশ্নের মোড়ক খোলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কেন্দ্র সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে খোলা হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন মোবাইল বা অন্য কোন ডিভাইস নিয়ে কোন শিক্ষার্থী, কর্মকতা বা কর্মচারী প্রবেশ করলে তাঁকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করা হবে। সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘন্টা আগে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা প্রশ্ন ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে, কার্যক্রম দেখে একথা প্রতীয়মান হয়, তাদের লক্ষ্য সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হেয় প্রতিপন্ন করা। এজন্যই পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হচ্ছে। এর সাথে জড়িত প্রত্যেকে ধরা পড়বে। তাদেরকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।