নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
রবিবার বেলা ১১ দিকে সংশিষ্ট আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান কারা কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ দেন। এর আগে সাড়ে ১০টার দিকে খালেদার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন।
এব্যাপরে সিনিয়র আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘জেলকোডের ৬১৭ ধারা অনুযায়ী জেল সুপারেরই এই আবেদন করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। এতে আমরা কষ্ট পেয়েছি। পরে আমাদেরকে এ ব্যাপারে আবেদন করতে হয়েছে।’
এদিকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৭২ বছর বয়সী একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারান্তরীণ রেখে ও তাকে ডিভিশন না দিয়ে সরকার তার সঙ্গে সম্পূর্ণ অমানবিক আচরণ করছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি তো ৭৩৩ বছরের একজন বয়স্ক মানুষ। তার সার্বক্ষণিক পরিচারিকা হিসেবে যিনি জেল কোডের মধ্যে রয়েছে তাকেও বেগম জিয়ার সঙ্গে থাকতে দেয়া হচ্ছে না। এর চেয়ে অমানবিক আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘জেল কোডের মধ্যে খুব পরিষ্কার করে বলা আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রীর ক্ষেত্রে ডিভিশন দিতে কোনও অনুমতির দরকার নেই। অর্থাৎ জেল কোডেই বলা হচ্ছে তারা ডিভিশন পাবেন। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখনও ডিভিশন পাচ্ছেন না।’
কারা সূত্র জানায়, কারাগারে খালেদা জিয়াকে কীভাবে রাখা হবে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপকারাধ্যক্ষ শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি নারী কারারক্ষী দল এবং উপকারাধ্যক্ষ আশরাফ উদ্দীনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের আরেকটি দল গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা প্রশাসন ১৫ দিন ধরেই নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ ঘষেমেজে পরিষ্কার করে। ডিভিশনের আদেশ পাওয়ার পরই তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এর মধ্যে গত বুধবার কারাগারের আশপাশে নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে কারা প্রশাসন।