Contact For add

Mon, Feb 12 2018 - 12:42:07 PM +06 প্রচ্ছদ >> অপরাধ

Rape Khatun: The verdict in the case of rape and murder is the verdict of four peopleরূপা ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায়ে চারজনের ফাঁসির আদেশ

রূপা ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায়ে চারজনের ফাঁসির আদেশ

হলি টাইমস রিপোর্ট :

 

মাত্র ১৪টি কর্মদিবসের পর টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর রূপা খাতুন ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায়ে চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে আজ সোমবার এ রায় দেন। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আদালতে বসেন বিচারক। এরপর ৭৩ পৃষ্ঠার রায়ের অংশ বিশেষ পড়ে শোনান।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। রূপা একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী ছিলেন।

রায়ে বাসটির চালক হাবিবুর (৪৫), চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। বাসের সুপার ভাইজার সফর আলীকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

রায়ে আজ আদালত বলেছেন, যে বাসে ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই জব্দ হওয়া বাসটির মালিকানা রূপার পরিবারকে দিতে হবে।

এ মামলায় অভিযোগ গঠন, সাক্ষী ও যুক্ততর্কের জন্য মাত্র ১৪ দিন সময় নেওয়া হয়। টাঙ্গাইলের আইন অঙ্গনের ইতিহাসে এই প্রথম এ ধরনের একটি মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অভিযোগ গঠন থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত এ মামলার পেছনে ব্যয় হচ্ছে মাত্র ১৪ কর্মদিবস।
রায়ের পর নিহত রূপার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক  বলেন, দেশে যে আইন আছে, এ রায় তার প্রমাণ। রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এর ফলে আমার বোনের আত্মা শান্তি পাবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম নাছিমুল আক্তার বলেন, আমরা এ রায়ে খুশী।
তবে রায়ে সন্তুষ্ট নন আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আপিল করব।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২৯ নভেম্বর এই মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষীর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শুরু হয়। পরে আট কর্মদিবসে বিচারিক হাকিম, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চার কর্মদিবসে আসামিদের পরীক্ষা এবং উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৫ আগস্ট রূপা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর পুলিশ ওই রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে রূপার মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন। রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, এবং চালকের সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। এঁরা পাঁচজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আজাদ বলেন, এভাবে মামলার নিষ্পত্তি হলে মানুষের আদালতের প্রতি আস্থা বাড়বে। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সহায়ক হবে।



Comments

Place for Advertizement
Add