Contact For add

Thu, Feb 22 2018 - 12:02:00 PM +06 প্রচ্ছদ >> শিক্ষা

Khulna city waste waste!বর্জ্য বেহালে খুলনা সিটি !

বর্জ্য বেহালে খুলনা সিটি !

সাগরিকা মন্ডল :

 

ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত খুলনা শহর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাস বৃহত্তর খুলনা উপকূলে। কিন্তু পরিবেশ দুষনের কারনে শান্তিতে নেই এ সব মানুষ । জানা যায়, খুলনা শহরে প্রতিদিন ৫০০ টনের মতো বর্জ্য তৈরি হয়। বর্জ্যে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়েছে রুপসা ফেরিঘাটের চলাচল্তি লোকজন ।টামির্নালের পাশে রয়েছে ময়লার স্তুপ ।

শুধু রুপসা ফেরিঘাট নয় ,শহরের নালা-নর্দমার তরল বর্জ্  ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । বর্জ্যের বিষাক্ততায় মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে নগরবাসী । লাইনের  পানিতে রয়েছে সমস্যা । পানি ফিল্টার করে ও পান করার উপযুক্ত হচ্ছে না । নগরবাসী বলেন, দূষিত পানির কারণে আমাদের বসবাস করতে সমস্যা হচ্ছে। এগ্রিকালচার অফিসার পাপন বিশ্বাস বলেন , আইন-কানুন না মানায় সারা দেশের ন্যায় খুলনা অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। দুর্গন্ধে ওই স্থানটি অতিক্রম করা দায়। তবুও অনেকে এসব বর্জ্য স্তুপ মাড়িয়ে তাদের গন্তব্যে ছুটছে ।

সরজমিনে দেখা যায় ,মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভাল না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে নগরীর সীমানা সংলগ্ন শহরতলীর জনপদ ও  । প্রতিদিন নগরীর ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে একেবারে রূপসা সেতু পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যেই বসবাস করতে হয়। বর্ষায় জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মওসুমের দুর্গন্ধ দুর্বিষহ করে তুলেছে এখানকার জনজীবন।

 স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন , শহরের ময়লা-আবর্জনা আশপাশের ড্রেন দিয়ে এসে এখানকার খালগুলো ভরাট হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ।

 

 

 খূলনা ফেরি ঘাট টামির্নাল , ছবি : সাগরিকা মন্ডল ।

 

এ ছাড়াও গল্লামারী, নিরালা ও ট্রাকস্ট্যান্ডসহ অসংখ্য ড্রেন দিয়ে বের হয়ে আসা নোংরায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জীবন। বাড়ছে নানা রোগজীবানু ।

যদি ২০১৬ ফেব্রুয়ারীতে সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্যে সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেছিলেন সিটি মেয়র। শুস্ক মৌসুমে পুরো মহানগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সচল করার কথা ও বলেছিলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস । তবু ও এখনো তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানা যায়। পানির  ভয়াবহ লবণাক্ততার আগ্রাসনে  যদিও পাল্টে যাচ্ছে খুলনা উপকূলের চিরচেনা প্রকৃতি । তবুও মনুষ্যসৃষ্ট অপ কর্মকান্ডে খুলনার মাটি ও পানি স্বাভাবিক কর্মকান্ড হারাচ্ছে।

 

 ছবি : সাগরিকা মন্ডল

 

বিশেষঞ্জরা বলছেন, উপকূলের ভূমিতে মাত্রতিরিক্ত ‘এসিড সালফেট’ সল্টের আধিক্য কৃষি ও জীববৈচিত্রের জন্য খুবই বিপদজনক। এতে এখানকার ভূমি উৎপাদনশীলতা ও উর্বরতা হারাচ্ছে।

১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গবেষণার ফলাফলে খুলনা উপকূলে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ বেড়েছে বলে অভিমত, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ।

শহরে এখনো অনেক  স্থানে গেলে নাকে কাপড় গুঁজে পার হয় হতে হয় ।  নগরবাসী বলছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা শোনা গেলেও  এখনো ব্যবস্থাপনার  তেমন কোনো উন্নতি নেই।

নগরবাসী  আরো বলেন, সিটি করপোরেশনের অন্যতম কাজ হলো শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে জমা হবে। এসব ময়লা-আবর্জনা সেখান থেকে করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবে কিন্তু সেই সিটি করপোরেশনের সাইনবোর্ডের সামনেই যদি এমন করে ময়লা স্তুপ থাকে । তবে  পরিবেশ রক্ষায় জনগনের ভূমিকা কেমন হতে পারে ।

জানা যায় , সেকেন্ডারি ডাম্পিং পয়েন্টগুলো উন্নত করার চেষ্টা করেছে খুলনা সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি বিভাগ ।

তবে খুলনা সিটি করপোরেশনের কনজারভেন্সি বিভাগের প্রধান আনিসুর রহমান দাবি , বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তিনি বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তবে তা আমরা দ্রুতই কাটিয়ে উঠব।



Comments