হলি টাইমস রিপোর্ট :
বাংলাদেশের বিখ্যাত পল্লী সঙ্গীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ তাঁর নাম রেখেছিলেন রোজি।
সৈয়দ হাসান ইমাম কে বিয়ের পর থেকে লায়লা নার্গিস থেকে হলেন লায়লা হাসান।
সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক আবহ ছিল তাঁর পরিবারের মধ্যে।
প্রথম মঞ্চে উঠেন তিন বছর বয়সে।
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মণিবর্ধন মহাশয়, অজিত সান্যাল, বাবু রাম সিংহ, জিএ মান্নান এবং শমর ভট্টাচার্য্য প্রমুখের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেন।
লায়লা হাসান পরিচিতি পান আশির দশকে বিটিভিতে ছোটদের নাচ শেখার অনুষ্ঠান ‘রুমঝুম’ এর মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানটি প্রায় ৩৭ বছর ধরে চলছে বিটিভিতে।
তিনি যখন নাচ করেন তখন মেয়েদের জন্য মঞ্চে নাচ করা বা অনুষ্ঠান করাটা খুব সহজ ভাবে নেয়া হত না।
কিন্তু লায়লা হাসান পারিবারিকভাবে পেয়েছিলে ভীষণ সহযোগিতা।
১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ছিলেন তিনি।
তিনি বলছিলেন “রাত-দিন পাকিস্তান বাহিনীর নির্যাতনের কথা শুনতাম, সারারাত কাঁদতাম।
পর বেতারে উদ্দীপনামূলক গান, আবৃতি করতাম”।
১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ।
ঢাকার টিকাটুলিতে কাটে তার শৈশব।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে দর্শনে এমএ করেন।
দুই মেয়ে এবং এক ছেলের মা তিনি।
তিনি নৃত্যসংঘ "নটরাজ" প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৯০ সালে। লায়লা হাসান থিয়েটার, টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
কঙ্কাবতীর ঘাটে, রক্তকরবী, ছুটি, মায়ার খেলা, রাজা রাণী, তাসের দেশ, স্বর্গ হতে বিদায়, শ্যামল মাটির ধরাতলে, নীল দর্পণ, দত্ত, কেরানির জীবন, টেমিং অব দ্য শ্রু এবং নকশী কাঁথার মাঠ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনুষ্ঠান করেছেন।
তাঁর টিভি নাটকগুলো হল মন পবনের নাও, কাজল রেখা, ভেলুয়া সুন্দরী, মহুয়া, রাণী ভবানীর পথ, রত্নদ্বীপ, পাশাপাশি এবং আশ্চর্য এক রাতের গল্প।
তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হল ঘরে বাইরে, এই তো প্রেম ইত্যাদি।
লায়লা হাসানের সাথে কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভীন।
সূত্র বিবিসি বাংলা ।