Thu, Jul 27 2017 - 2:37:21 PM +06

পদত্যাগের ১৪ ঘণ্টা পর শপথ নিলেন নীতিশ


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

পদত্যাগের মাত্র ১৪ ঘণ্টা পর ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নিতীশ কুমার। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে জোট গড়ে বৃহস্পতিবার সকালে শপথ নেন তিনি।এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন নীতিশ। বিজেপি ও এনডিএ’র সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেয়ায় লালু যাদব ও কংগ্রেসের সঙ্গে দুই বছরের মহাজোটের সমাপ্তি ঘটল নিতীশের।

বিজেপি সমর্থিত নিতীশ রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন সুশীল মোদিকে। শনিবার ট্রাস্ট ভোটে নিতীশের জয়ের পর অন্যান্য মন্ত্রীরাও শপথ নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার বিহারের গভর্নর কেশরি নাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নীতিশ। সন্ধ্যায় বিহারের এই গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। একই সঙ্গে বিজেপি এবং ছোট দলগুলোর সমর্থনে সরকার গঠনের কথা জানান।

গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সুশীল মোদি সাংবাদিকদের বলেন, ১৩২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে আমরা গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দিয়েছি।

লালু যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব; যিনি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিতীশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তেজস্বী যাদব বৃহস্পতিবার সকালেও রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শপথ অনুষ্ঠান বন্ধের দাবি জানান।

বিহারের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে সরকার গঠনে প্রথমবারের মতো তাদেরকে অধিকার দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার রাতে গভর্নরের বাসভবনের বাইরে প্রতিবাদে বসেন তিনি। এমনকি আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন তেজস্বী।

বুধবার সন্ধ্যায় নিতীশের পদত্যাগের দশ মিনিটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে অভিনন্দন জানান। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাকে স্বাগত।’

২০০৫ সালে এনডিএ’র সঙ্গে জোট গড়েন নীতিশ কুমার। ৭ বছর পর ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পরে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন তিনি। নিজেই প্রধানমন্ত্রী পদে লড়াই করতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।

পরে ২০১৫ সালে বিধানসভার ভোটে লালু ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন নীতিশ। মাত্র দুই বছরের মাথায় লালু-কংগ্রেস জোট ছেড়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গঠন করলেন বিহারের এই রাজনীতিক।

সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।