Sun, Aug 27 2017 - 11:28:37 AM +06

আমরা পাশে আছি দুর্গত মানুষের খাবার কষ্ট হবেনা - আফরোজা বারী


News Image



বিশেষ প্রতিবেদক :
বন্যাকবলিত নিরন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, আনন্দ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারী। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ডুবে যাওয়া চরাঞ্চলের দুই হাজার পরিবারকে চাল ডাল তেল, বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধপত্র প্রদান করেছেন তিনি ।
ওই সংসদীয় আসনের বিপুল জনপ্রিয় সংসদ সদস্য, প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরোজা বারী। লিটন আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কবীরসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা ত্রান বিতরন কার্যক্রমে আফরোজা বারীর সঙ্গে ছিলেন।
গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন, একজন কর্মী হিসেবে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করবেন।


গত সপ্তাহে তিনি সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ, কাপাসিয়া শ্রীপুরসহ সাতটি ইউনিয়নে ত্রান বিতরণ করেছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই প্রাকৃতিক বিপদে সব সময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
আফরোজা বারী বলেছেন, প্রতিবছরই আমাদের এমন বন্যা , জলোচ্ছ্বাস, ঘুর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। এজন্য আমাদের স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি চরাঞ্চলবাসীকে বলেছেন, বন্যা মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন থাকে। এই সময়টার জন্য যেসব এলাকায় বেশি ডুবে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে সব এলাকায় উচু বিল্ডিং বা বন্যা সেল্টার সেন্টার  তৈরি করতে হবে। এই বিষয়টি তিনি সরকারের সংশ্লিষ্টদের জানাবেন। সরকারের কাছে দাবি করবেন। বেসরকারি পর্যায় থেকেও যাতে এ ধরনের বন্যা সেল্টার সেন্টার তৈরি করা যায় এবং ২০ দিন যাতে বন্যা কবলিত মানুষের খাবার ব্যবস্থা করা যায় তার চেষ্টা করবেন।


তিনি বলেন, আপনাদের খাবার কষ্ট হবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন। আমি, আমার পরিবার এবং সুন্দরগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে আছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করবো।
তিনি অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আজ আমার এখানে আসার কথা নয়। আজ আপনাদের পাশে থাকতো আমার ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। আমি মাত্র একবার আসতে পেরেছি। লিটন থাকলে দিনে রাতে যখনই প্রয়োজন হতো ছুটে আসতো। লিটনের সেই অভাব পুরন হবার নয়। তবুও আমি ওর বড় বোন হিসেবে কথা দিচ্ছি আপনাদের সুখে দু:খে আমাকে পাশে পাবেন।


তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা, মা সবাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, মানুষের সেবা করেছেন। লিটন সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলো। স্বাধীনতার পর লিটনের নেতৃত্বে সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে একটি রাজনৈতিক মাইল ফলক স্থাপন করে। সেই পথ ধরেই আজ সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নতুন আঙ্গিকে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায় আমিও আপনাদের একজন সহযাত্রী।
আফরোজা বারী বলেন, আমি রাজনীতি করতে আসিনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের  সেবা করতে এসেছি। সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়াটা আমার আকাঙ্খা নয়। আমি চাই আমার পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে, আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে এই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। বিপদে আপদে সুখে দু:খে কখনোই আমাকে ডেকে আনতে হবেনা। আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে, আপনাদের মেয়ে হিসেবে, আমাকে সব সময় কাছে পাবেন ।
এর কিছু দিন আগে তিনি বিভিন্ন এলাকায় গরীব মানুষের মাঝে শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করেছিলেন।