Sat, Sep 9 2017 - 6:35:10 PM +06

ফোনে কথার পরই আবার বন্ধ সৌদি-কাতার যোগাযোগ


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

সৌদি আরবের যুবরাজ এবং কাতারের নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তার কিছু সময় পরই সৌদি আরব বলেছে, তারা কাতারের সাথে সংলাপ স্থগিত করে দিয়েছে।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন জোগানোর অভিযোগ এনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ,বাহরাইন ও মিশর -এই চারটি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, যদিও এ অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করছে। এ প্রেক্ষাপটেই কাতারের আমির ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সাথে টেলিফোনে কথা বলার খবর বেশ সাড়া ফেলে দেয়।

কিন্তু এর পরই সৌদি আরব অভিযোগ করে যে কাতার এই টেলিফোন সংলাপের খবর বিকৃত করেছে, এবং সে জন্য তারা সংকট সমাধানের আলোচনা বন্ধ করে দিচ্ছে

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সমস্যাটা মূলত প্রটোকল বা আনুষ্ঠানিক রীতিনীতি নিয়ে হয়েছে। দোহা থেকেই যে প্রথম ফোন করা হয়েছিল, কাতারি সংবাদমাধ্যম সেটা স্পষ্ট না করায় সৌদি আরব ক্রুদ্ধ হয়।

সন্তাসবাদে মদদ দেবার অভিযোগে চারটি আরব দেশ জুনের ৫ তারিখ কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, বিমান ও সমুদ্র যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। সৌদি আরবসহ চারটি দেশ কাতারের কাছে যেসব শর্ত দেয় - তার মধ্যে রয়েছে আল-জাজিরা টিভি বন্ধ করা এবং ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।

কাতার সৌদি আরবছবির কপিরাইটগুগল
Image captionমানচিত্রে কাতার ও সৌদি আরব

এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলাদা ভাবে দু'দেশের নেতাদের সাথে কথা বলেন। এর পর শুক্রবার কাতারের আমির ও সৌদিআরবের যুবরাজ সংকট শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলায় বিরোধ কাটানোর পথে একটা অগ্রগতি হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল।

দুপক্ষের মিডিয়া রিপোর্ট করে যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই সংকট নিষ্পত্তির জন্য 'আলোচনার প্রয়োজন নিয়ে কথা বলেন।'

সৌদি সংবাদ মাধ্যম জানায়, কাতারের নেতা 'সংলাপের টেবিলে বসা, এবং চারটি দেশের করা দাবি নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।'

কিন্তু কাতারের সংবাদ সংস্থা জানায়, 'সৌদি যুবরাজ প্রস্তাব করেছেন, দুজন দূত নিয়োগ করা হোক - যারা কোন দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ না করে বিতর্কিত ইস্যুগুলোর মীমাংসা করবেন।'

এর কিছু পর সৌদি আরব অভিযোগ করে যে কাতার সংলাপের ব্যাপারে 'সিরিয়াস নয়',এবং দু'পক্ষের যোগাযোগ স্থগিত করে দেয়া হচ্ছে।খবর বিবিসির