Tue, Sep 19 2017 - 3:17:53 PM +06

শুভ মহালয়া ! আজ মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা পা রাখবেন মর্ত্যলোকে।


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

আজ শুভ মহালয়া। শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন । পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু। পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা আজ পা রাখবেন মর্ত্যলোকে।

অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। তখন দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি। সূত্র: ডি এম পি ।

শাস্ত্রমতে, হিমালয়ের কৈলাশ থেকে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর দুর্গা দেবী আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে।

বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, এবার দুর্গা দেবী আসছেন ‘পালকি’-তে চড়ে। হিন্দু শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই পূজারীরা দুর্গা মায়ের আগমন ধ্বনি শুনতে পাবেন। হিন্দু ধর্মমতে, মহালয়ার দিনে দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। শাস্ত্রীয় বিধান মতে, মহালয়ার দু’টি পর্ব রয়েছে, একটি পিতৃপক্ষ, অন্যটি দেবীপক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয় দেবী পক্ষের। আজ মহালয়া দিয়ে আরম্ভ হচ্ছে সেই দেবীপক্ষ।

 

বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে এবার ৯ আশ্বিন (২৬ সেপ্টেম্বর) সায়ংকালে দেবীর বোধন ও তারপরে ষষ্ঠীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে ১০ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) মহাসপ্তমী, ১১ আশ্বিন (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষ্টমী, ১২শে আশ্বিন (২৯ সেপ্টেম্বর) মহানবমী এবং ১৩ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে এই মহানুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

শুভ মহালয়া উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হবে ভোর বেলায়। ঘট স্থাপন, চণ্ডীপাঠ, পূজা অর্চনা, আরাধনাসহ এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপসহ সারা দেশের স্থায়ী, অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলোতে মহালয়া উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

এবছর সারাদেশে ৩০ হাজার ৭৭টি মন্ডপে শারোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহনগীরতে এ সংখ্যা ২৩১। পূজা  উপলক্ষে সারা দেশে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে থাকবে এক লাখ ৬৮ হাজার আনসার সদস্য।