Mon, Sep 25 2017 - 11:57:20 AM +06

কার্টুন এঁকে বার্মায় রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা


News Image

 

হলি টাইমস রিপোর্ট :

মিয়ানমারের ভেতরে সে দেশের কার্টুনিস্টরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের লক্ষ্য করে যেসব কার্টুন আঁকছে সেগুলো দ্রুত সামাজিক যোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, মিয়ানমারের ভেতরকার মনোভাব সেটির পুরোপুরি বিপরীত।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যেসব কার্টুনিস্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তারা এখন রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে নানা ধরনের বিদ্রুপাত্ন কার্টুন আঁকছে।

এর মধ্যে যে কার্টুনটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক প্রচার হয়েছে সেটির শিরোনাম হচ্ছে, 'কুমিরের কান্না'।

সে কাটুনটিতে দেখা যাচ্ছে, আহত কিছু প্রানিদের মধ্য থকে একদল কুমিরের ছানা সাঁতার কেটে পশ্চিমা ক্যামেরাম্যানের কাছে গেছে।

সেখানে গিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে একটি কুমির বলছে, " আমি মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।" খবর বিবিসির।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি এ কার্টুনটিতে স্পষ্টত ইঙ্গিত করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের একজন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট ইউ নাইং এএফপিকে বলেন, " রোহিঙ্গারা যেসব কথা বলছে সেগুলো সত্য নয়।"

৫৮ বছর বয়সী এ কার্টুনিস্ট বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে শুধু চিন্তার খোরাক জুগিয়েছেন।

" আমরা দেশপ্রেমে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কার্টুন আঁকি," বলছিলেন ইউ নাইং।

মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা কয়েক দশক ধরে সে দেশের জনসাধারণকে প্রযুক্তি, বিতর্ক এবং মতামত থেকে দুরে রেখেছিল।

সে দেশের জনসাধারণ কোন বিষয় নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারতো না।

কিন্তু কয়েকবছর আগে মিয়ানমারের কিছুটা উন্মুক্ত হবার সাথে সাথে সে দেশের মানুষ ফেসবুক এবং টুইটারে তাদের নাক-মুখ গুঁজে দিয়েছে।

এখন রোহিঙ্গা বিরোধী নানা ধরনের কার্টুন এবং মতামত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গা বিরোধী সে সব পোস্টে 'লাইক', 'কমেন্ট' পড়ছে এবং শেয়ার হচ্ছে।

মিয়ানমারের ভেতরে অনেকেই রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করে না।

সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে গত আগস্ট মাস থেকে প্রায় চার লাখ ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।