সাগরিকা মন্ডল,ঢাকা:
কলকাতায় পরিদর্শনমূলক স্থান :
কলকাতায় ঘুরতে যাওয়া অনেকের স্বপ্নের ব্যপার । শুধু টাকা পয়সা থাকলেই সব হয় না ঘোরার জন্য আলাদা মন লাগে।অনেকের ইচ্ছা বা টাকা থাকা সত্তে ও র্কম বা সময়ের অভাবে ঘোরার সময় পান না ।তবে যদি কখনো সময় পান ,আর যদি মন স্থির করেই ফেলেন যে কলকাতা ঘুরবেন তাহলে ,দেখতে ভুলবেন না এই সকল র্দমনীয় স্থান গুলো । চলে আসুন কলকাতার মাটিতে ঘুরে আসুন -
১। কালীঘাট মন্দির
২। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি
৩। বেলুড় মঠ
৪। দক্ষিণেশ্বর মন্দির
৫। পরেশনাথ জৈন মন্দির
৬। নাখোদা মসজিদস্বভূমি
৭। সেন্ট জন’স চার্চ
৮। আর্মেনিয়ান চার্চ
৯। হাওড়া ব্রিজ
১০ । রবীন্দ্র সদন
১১ । ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল
১২। বিদ্যাসাগর সেতু
১৩। কলকাতা রেস কোর্স
১৪। ন্যাশনাল লাইব্রেরী
১৫। কলকাতা শহীদ মিনার
১৬। কলকাতা মার্বেল প্যালেস
১৭। কলকাতা এম.পি.বিড়লা তারামণ্ডল
১৮। বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়্যাম
১৯। রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়্যাম
২০। বিড়লা আর্ট মিউজিয়্যাম
২১। আশুতোষ মিউজিয়্যাম
২২। গুরুসদয় মিউজিয়্যাম
২৩। বোটানিক্যাল গার্ডেন
২৪। জুওলোজিক্যাল গার্ডেন
২৫। এগ্রি হর্টিকালচার্যাল গার্ডেন
২৬। অ্যাকোয়াটিকা
২৭। নিক্কো পার্ক
২৮ । স্বভূমি
২৯। সায়েন্স সিটি
৩০। মিলেনিয়াম পার্ক
৩১। নলবন বোটিং কমপ্লেক্স
৩২। ক্লাউন টাউন ।
কলকাতার হিন্দু ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির মধ্যে এক অন্যতম হলো :
কালীঘাট মন্দির -
কালীঘাট মন্দির। এই দেবালয়ের ভিতরে অধিষ্ঠিত দেবী কালীর মূর্তির জন্য এই মন্দিরটি বিখ্যাত। কালীঘাট মন্দিরটি ১৮০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির - দক্ষিণেশ্বর মন্দির ১৮৪৭ সালে রাণী রাসমণির দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এক বিখ্যাত হিন্দু আধ্যাত্মিক গুরু, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এখানে পূজা করতেন। এটি কলকাতার এক প্রধান হিন্দু ধর্মীয় স্থান হিসাবে গণ্য হয়।
সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল - সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল, ব্রিটিশ রাজের এক প্রত্যক্ষ শাখা ছিল। এই সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল ১৮৪৭ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এটি কলকাতার এক সর্বোত্তম খ্রীষ্টান ধর্মীয় স্থান রূপে গণ্য হয়। সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল হল একটি ৬৫ মিটার উচ্চ দূর্গ যুক্ত এক বিশাল প্রাসাদ।
সড়ক বা বাস স্ট্যান্ড :
কলকাতা ভারতের বেশিরভাগ শহরগুলোর সাথেই সড়কপথ দ্বারা সংযুক্ত। ২-নং ও ৬-নং জাতীয় সড়ক ভারতের অন্যান্য শহর ও রাজ্যগুলোর সাথে এই শহরের সংযোগ স্থাপন করে। কলকাতায় সরকারি ও বেসরকারি বাসের একটি বিস্তৃত সংযোগ ব্যবস্হা রয়েছে।কলকাতা রাজ্য পরিবহণ সংস্থা (সি.এস.টি.সি), কলকাতা ট্রাম পরিষেবা কোম্পানি (সি.টি.সি), পশ্চিমবঙ্গ পৃষ্ঠ পরিবহণ সংস্থা (ডাব্লু.বি.এস.টি.সি) প্রত্যহ বহু বাস পরিষেবা প্রদান করে থাকে। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড এই শহরের প্রধান বাস স্ট্যান্ড।
ফিরে আসার সময় যদি মনে হয় দেশে আপনজনদের জন্য কিছু আনার দরকার তাহলে চলুন-
কলকাতাকে তাদের জন্য ‘কেনাকাটার স্বর্গোদ্যান’ বলে বর্ণনা করা যেতে পারে, যাদের কাছে অর্থের মূল্য আছে। এই শহরজুড়ে বহু বাজার রয়েছে। ‘শসা’ থেকে ‘পণ্যসম্ভার’,’জুতার ফিতে’ থেকে ‘শাড়ি’ সবকিছুই এই শতাব্দী প্রাচীন বাজারের একই ছাদের নীচে পাওয়া যায়।লিন্ডসে স্ট্রীটের নিউ মার্কেট কলকাতার এক প্রাচীনতম এবং বিখ্যাত বাজার। প্রতি বছর ‘দুর্গা পূজার’ সময় এখানকার বাজারগুলি এক উৎসবে মেতে ওঠে, কারন এই রাজ্য তথা প্রতিবেশী রাজ্যের বহু মানুষ এখানে কেনাকাটা করতে আসে। কলকাতার ফ্যাশন স্ট্রীট বলে পরিচিত পার্ক স্ট্রীট এছাড়াও আর্টেরিয়াল রাস্তা, জে.এল. নেহেরু রোড, শেক্সপীয়ার সরণি, ক্যামাক স্ট্রীট ও রাসেল স্ট্রীট হল এখানকার উল্লেখযোগ্য স্থান। বিভিন্ন কেনাকাটার স্থান, খাবার দোকান, মিউজিক স্টোর, বইয়ের দোকান এবং বিভিন্ন ধরনের রন্ধন প্রণালী সমৃদ্ধ রেস্তোরাঁ এখানে গড়ে উঠেছে। কলকাতার উপগ্রহনগরী সল্টলেকের চার্ণক সিটি একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তিনতলা শপিং কমপ্লেক্স। চৌরঙ্গী রোড ফুটপাত বিক্রেতাদের একটি আশ্চর্য বৈচিত্র, যেখানে জল পিস্তল থেকে নাচের পুতুল সবই পাওয়া যায়। দক্ষিনাপন শপিং কমপ্লেক্স, কলেজ পড়ুয়াদের জন্য একটি প্রিয় স্থান যেখানে তাদের বাজেট অনুযায়ী জামা-কাপড় পাওয়া যায়।