Thu, Nov 2 2017 - 2:48:46 PM +06

বাংলাদেশের দূতবাস সমূহ যোগাযোগ স্থাপনের মূল কেন্দ্রবিন্দু


News Image

আন্তন নাগ :

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতবাস সমূহ সেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপনের মূল কেন্দ্রবিন্দু।বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজ তুরষ্কের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম বৃদ্ধিতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং তরষ্কের সাথে যৌথভাবে ব্যবসায়িক কর্মকা- পরিচালনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তুরষ্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে ডিসিসিআই’র বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তুরষ্কে বাংলাদেশ দূতবাসের কনসুল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ডিসিসিআই পরিচালক ইঞ্জিঃ আকবর হোসেন, ইমরান আহমেদ, খন্দ. রাশেদুল আহসান, মামুন আকবর, আলাউদ্দিন মালিক, রিয়াদ হোসেন, ওসমান গনি, রিয়াদ হোসেন, প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, এম এ সেকিল চৌধুরী, প্রাক্তন সহ-সভাপতি আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রাহ, প্রাক্তন পরিচালক এম এ বাতেন, এম বশির উল্ল্যাহ ভূঁইয়্যা, আহবায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল ইসলাম (অবঃ) এবং সদস্য লায়ন মাহমুদ হাসান প্রমুখ ।

তুরষ্ক সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদারের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত ০১ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে তুরষ্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকীর সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। তুরষ্ক থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি তিনি আহবান জানান।

ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি জানান, সরকার বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষন করার জন্য নানাবিধ সুবিধা সহ বিনিয়োগ প্যাকেজ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকে। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা বিষয়ক তথ্যাদি তুরষ্কের ব্যবসায়ী সমাজের নিকট এ ধরনের তথ্য পৌঁছানোর জন্য দূতবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের প্রতি আহবান জানান, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে তুরষ্কের বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রাপ্তির বিষয়টি আরোও তরান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
তিনি তুরষ্কে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে “সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার” আয়োজনের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে তুরষ্কের ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজ বাংলাদেশী পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং আগ্রহী হবে। ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি বাংলাদেশের ব্যান্ডিং ইমেজ আরো সুদৃঢ় করার বিষয়ে দূতবাসের পক্ষ হতে আরোও উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোরারোপ করেন।    

তুরষ্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তুরষ্কে তথ্য-প্রযুক্তি, টেক্সটাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, বাইসাইকেল, সিরামিক, পর্যটন, ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত জানান, তুরষ্কের মূল ভিত্তি হলো উৎপাদনমুখী অর্থনীতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশী পণ্যের বিষয়ক নানাবিধ তথ্যাদি তরষ্কের ব্যবসায়ীদের নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে দূতবাসের পক্ষ হতে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ও ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে। তিনি দুদেশের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও তথ্য আদান-প্রদান বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তুরষ্কে বাংলদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যকম বৃদ্ধির জন্য দূতবাসের পক্ষ হতে সর্বাতœক উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। তুরষ্কে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বাণিজ্য মেলা সমূহে অংশগ্রহণের জন্য  বাংলাদেশী তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহবান জানান, যার মাধ্যমে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাবৃন্দ তুরষ্কের বাজার ও পণ্যের চাহিদা বিষয়ে সম্যক ধারণা পাবে। তিনি আরোও বলেন, তরষ্কের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ তুরষ্কের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী।