Thu, Nov 16 2017 - 2:17:30 PM +06

রসগোল্লা এখন থেকে ভারতের


News Image

হলি ডেস্ক :

বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মিস্টির নাম রসগোল্লা। কিন্তু পেটেন্ট  পেল পশ্চিম বাংলা। রসগোল্র‍ার ইতিহাস অনেকটা বাংলাদেশের অনুকূলে থাকলেও পেটেন্ট নিয়ে কোন দাবি করা হয়নি। অথচ গত আড়াই বছর ধরে ওরিষ্যা এবং পশ্চিমবাংলার মধ্যে এই নিয়ে লড়াইয়ে জিতলো ওপারের বাংলা। আমরা আসলে এখন থেকে পশ্চিম বাংলার রসগোল্লাই খাবো। আমাদের আর নিজস্বতা রইলোনা। ভারতের বেশ কয়েকটি মিডিয়ার খবরে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
আজকাল পত্রিকা জানাচ্ছে, রসগোল্লা আসলে কার?‌ বাংলার না ওড়িশার?‌ সে নিয়ে প্রায় আড়াই বছরের লড়াই শেষ হয়েছে। জিআই জানিয়ে দিয়েছে বাংলাই রসগোল্লার আদিঘর। খাঁটি রসগোল্লা বলতে আমরা যা বুঝি, তা ওড়িশার রসগোল্লার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। বাংলার রসগোল্লা তৈরি হয় পুরোপুরি ছানা থেকে। সেখানে ক্ষীর ও সুজি থেকে হয় ওড়িশার রসগোল্লা। বাংলার রসগোল্লার রং যেখানে ধবধবে সাদা, সেখানে ওড়িশার রসগোল্লার রং লালচে। বাংলার রসগোল্লার চিনির রস থেকে তৈরি। ফলে রসের ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। ওড়িশার রসগোল্লায় ব্যবহার হয় গুড়ের। তাই রসের ঘনত্বও বেশি। রসগোল্লা আবিষ্কারের কৃতিত্ব সাধারণভাবে নবীনচন্দ্র দাসকেই দেওয়া হয়। তিন–চার বছরের গবেষণায় ১৮৬৮ সালে তিনি রসগোল্লা তৈরিতে সক্ষম হন। আবার কেউ কেউ বলেন, এই মিষ্টির উৎপত্তিস্থল বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলে। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এলাকায় পর্তুগিজদের সময় সেখানকার ময়রারা তৈরি করেন রসগোল্লা। তবে রয়েছে আরও নানা বিকল্প মত।
যেমন, কেউ কেউ মনে করেন, রানাঘাটের হারাধন ময়রা প্রথম রসগোল্লা বানান। তাঁর দোকানে একবার চিনির রসে দুর্ঘটনাক্রমে কিছু ছানার গোল্লা পড়ে যায়। আর তাই হয়ে যায় রসগোল্লা। 
এদিকে ৩০ জুলাইয়ের দিনটিকে রসগোল্লা দিবস হিসাবে পালন করতে শুরু করেছিল ওড়িশা। এবার সেই দিনটার কী হবে?‌