Sun, Nov 19 2017 - 7:31:56 PM +06

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে শিল্পকারখানার কার্যকর সংযোগ জরুরি


News Image

হলি টাইমস  রিপোর্ট :

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ ব্যবস্থাপক ও জনবলের চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে শিল্পকারখানার কার্যকর সংযোগ থাকা জরুরি। শিল্পের চাহিদা, গতিপ্রকৃতি ও আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্যোক্তা ও জনবল সৃষ্টিতে সহায়ক পাঠদান করতে হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষিত গ্রাজ্যুয়েটরা যোগ্য ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠবে। এসব দক্ষ জনসম্পদ দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।  

শিল্পমন্ত্রী বিশ্ব উদ্যোক্তা সপ্তাহ উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রাজধানীর ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক মুনির হাসান, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি হোস্ট সোহায়েল চৌধুরী, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শিবলী শাহরিয়ার, ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান বক্তব্য রাখেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশের চাকরি বাজারে কারিগরি পদে বিস্তর কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও এখাতে দক্ষ ও উপযুক্ত ডিগ্রিধারী প্রার্থীর তীব্র সংকট রয়েছে। এর ফলে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানব সম্পদখাতে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনসম্পদ তৈরির মাধ্যমে এ ধরনের জাতীয় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। বর্তমান সরকার দেশব্যাপী কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল তৈরির লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জোরদার করেছে।  

 শিল্পমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ উদ্যোক্তা সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এর আলোকে এলাকাভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা কাজে লাগানোর প্রয়াস জোরদার করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিক, বিটাক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে দক্ষ জনবল তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এসএমই ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী ১শ’ ৭৭টি শিল্প ক্লাস্টার চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট এলাকার উদ্যোক্তাদের চাহিদা নিরূপন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি সহায়তা, পণ্য বাজারজাতকরণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার এসএমই উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষিত করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন বলে তিনি জানান।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টার এবং বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিঃ যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা, দেশের প্রতিভাবান তরুণদের মাঝে ব্যবসা প্রস্তাবনা প্রতিযোগিতা, স্টার্ট আপ ফেয়ার, ডিজিটাল মার্কেটিং, বিপণণ কৌশল ও ধারনা বিষয়ক কর্মশালা, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পলিসি এবং প্রসিডিউর বিষয়ক সেমিনার, মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা, বুট ক্যাম্প, উদ্যোক্তা সম্মেলন ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এতে ব্যবসা প্রস্তাবনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১২টি সেরা প্রস্তাবনাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়। শিল্পমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।