Mon, Nov 20 2017 - 1:47:42 PM +06

সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ২১০টি আধার তথ্য ফাঁস


News Image

হলি টিাইমস রিপোর্ট :

নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর (পিটিআই): আধার সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস বা অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ২১০টি ওয়েবসাইট থেকে আধার-তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে স্বীকার করে নিল আধার কর্তৃপক্ষই। অর্থাৎ, ঘুরিয়ে মান্যতা পেল বিরোধীদের সেই অভিযোগ। তথ্যের অধিকার আইনের এক আবেদনের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে ইউআইডিএআই।
গোপনীয়তা ‘মৌলিক অধিকার’ জানিয়ে ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ভিত্তিতে চলতি মাসেই আধার মামলার রায় জানাবে শীর্ষ আদালতের বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ। তার আগে আধারের তথ্য ফাঁস নিয়ে মোদি সরকার বিপাকে পড়ল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। কারণ, কেন্দ্র যখন বিভিন্ন প্রকল্পে আধারকে আবশ্যিক করেছে, তখন বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন রাজ্য।
ওই আরটিআই মামলার জবাবে ইউআইডিএআই জানিয়েছে, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রায় ২১০টি ওয়েবসাইটে আধার উপভোক্তার নাম, ঠিকানা, নম্বর ও অন্যান্য তথ্য তথা সাধারণ মানুষের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।’ বিষয়টি জানার পরেই ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ নোট পাঠায় এবং সেই সমস্ত তথ্য মুছে ফেলে। তবে, কবে বা কী করে এই মূল্যবান তথ্য ফাঁস হল, সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি আধার সংস্থা। খবর : র্বতমান
কেন্দ্র ও সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আধার তথ্য ফাঁস হলেও তাদের সংস্থার নিরাপত্তা মজবুত রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউআইডিএআই। তারা জোর দিয়ে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা তথ্যভাণ্ডার থেকে ফাঁস হয়নি আধার সম্পর্কিত কোনওরকম তথ্য। এ বিষয়ে আরটিআইয়ের জবাবে আধার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ইউআইডিএআই খুব ভালোভাবে তৈরি, বহুস্তরীয় নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করে। এবং তা সবসময় আপডেট করা হয়। যাতে করে চূড়ান্ত পর্যায়ের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সংহতি বজায় থাকে।’
ইউআইডিএআই আরও জানিয়েছে, ‘আধার তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন নীতি ও পদ্ধতি মেনে চলা হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পর্যালোচনা করা হয়। এবং সবসময় আপডেট করা হয়, যাতে দেশবাসীর চলাফেরা, তথ্য ইত্যাদি ইউআইডিএআই কেন্দ্রের বাইরে না বেরয় এবং তার উপর নজর রাখা যায়।’ সংস্থা আরও জানিয়েছে, আধার তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা যাতে সবসময় মজবুত থাকে, সেজন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অডিট করানো হয়। এছাড়া, অন্যান্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় যাতে তথ্য সুরক্ষিত থাকে বলে জানিয়েছে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ।
ইউআইডিএআই দেশবাসীকে ১২ নম্বরের পরিচয়পত্র আধার কার্ড প্রদান করে। যা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয়। সম্প্রতি দুর্নীতি রোধ ও স্বচ্ছ পরিকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে মোদি সরকার প্যান কার্ড থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, রেশন থেকে মিড ডে মিল, রান্নার গ্যাস থেকে বৃত্তি, মোবাইল নম্বর থেকে বিমা ইত্যাদি থেকে আধার যোগ আবশ্যক করেছে। কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তে দেশবাসীর মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে আধার প্রকল্পের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। এখন দেখার এই তথ্য ফাঁসের পরিপ্রেক্ষিতে আধার নিয়ে শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়।