Wed, Dec 13 2017 - 11:43:16 AM +06

কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :


জাতীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা জোরদারের লক্ষ্যে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করতে সম্মত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন  এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ । আজ এ লক্ষ্যে দু’ পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে এনপিও’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এস.এম. আশরাফুজ্জামান এবং বিডব্লিউসিসিআই’র পক্ষে সংগঠনের সভাপতি বেগম সেলিমা আহমাদ স্বাক্ষর করেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিডব্লিউসিসিআই’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক  অনুযায়ী, দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। বিডব্লিউসিসিআই এর সদস্যদের শিল্প-কারখানার উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে এনপিও জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের  সহায়তায় টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস প্রদান করবে।

সমঝোতা স্মারকে  আরো ঐকমত্য হয় যে, এনপিও এবং বিডব্লিউসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর ৪টি বিভাগীয় শহরে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এসব কর্মশালায় এনপিও প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যক্তি (রিসোর্স পার্সন) প্রেরণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। এছাড়া, এনপিও’র কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রিয়ভাবে বিডব্লিউসিসিআই প্রতিবছর ১টি সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন করবে। পাশাপাশি উভয় প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর যৌথভাবে ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন করবে। বিডব্লিউসিসিআই নিজস্ব অর্থায়নে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে একটি মেলার আয়োজন করবে।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, এনপিও প্রতিবছর ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে বিডব্লিউসিসিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করবে। বিডব্লিউসিসিআই তদানুযায়ী এ বিষয়ে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত এবং আবেদনে উদ্বুদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগকে বেসরকারিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে দেশে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদার হবে। ফলে শ্রমিক, মালিক, ভোক্তাসহ সকল স্টেকহোল্ডার এবং রাষ্ট্র এর উপকার ভোগ করবে। এ উদ্যোগ মহিলা শিল্প উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নারী ক্ষমতায়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে কাম্য অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।