সাগরিকা মন্ডল :
নদী মাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। দেশের মানচিত্র দেখলেই বোঝা যায় রক্ত ধমনীর মতো নদীগুলো দেশের সারা শরীরে কি ভাবে জুড়ে আছে। সম্পদ, অর্থ, ব্যবসা বাণিজ্য, শৌর্য , যুদ্ধ সব কিছুই ছিল নদীকে ঘিরে। সেই নদীগুলোর কথা আজ আমাদের কাছে রূপকথার মতো শোনায়। আগামী প্রজন্ম হয়তো বই পুস্তক পড়ে আর জুদুঘরে গিয়েই জানতে পাড়বে বাংলার নদ-নদীর কথা। বই পুস্তক যাই-ই বা আছে কিন্তু জাদুঘর তো এখনো গড়ে ওঠেনি। সরকার এবার সেই কাজটিই করতে যাচ্ছে। এবার বাংলাদেশে তৈরি হবে নেভাল মিউজিয়াম। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের এরো একটি স্বপ্ন পূরনের দিকে।
আজ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৫০তম বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। কমিটি অতি শিগগিরি দেশে একটি নেভাল জাদুঘর তৈরির করার পরামর্শ দিয়েছে। বৈঠকে
কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম , সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, নূরুল ইসলাম সুজন, মোঃ হাবিবর রহমান,এম আব্দুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায় এবং মমতাজ বেগম এডভোকেট বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। বৈঠকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর এর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, আন্তর্জাতিক কনভেনশনের চাহিদা মোতাবেক বিদেশী জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকদের চাকুরীর সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশী সনদের গ্রহণযোগ্যতা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ণ বাংলাদেশের সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ইটালী, জার্মানী ইউ কে সহ ২৯টি দেশের সাথে বাংলাদেশের সনদের পারস্পরিক সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।
বৈঠকে আরো উল্লেখ করা হয় যে, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী এবং ট্রলার ধরনের নৌজানের দুর্ঘটনা হ্রাসের জন্য রিভার্সিবল গিয়ার সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নৌযানের নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌযান মালিকদের উদ্বুদ্ধ করে রিভার্সিবল গিয়ার সংযোজনের কার্যক্রম অবাহত রয়েছে। ২০১৭ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৭২৫৫টি নৌযানে রিভাসিবল গিয়ার সংযোজন করা হয়েছে।