Tue, Feb 20 2018 - 4:35:38 PM +06

রপ্তানি ৬০ বি.মা.ডলার অর্জন করতে নন-ট্রেডিশনাল পণ্যের উপর গুরুত্ব দিতে হবে


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রপ্তানি পণ্য ও বাজার বহুমূখী করণ করতে নন-ট্রেডিশনাল আইটেম গুলোর উপর যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল, শিল্পে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, তুলনামূলক কম খরচে বিশ^মানের রপ্তানি পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু তৈরী পোশাক রপ্তানির উপর ভরসা করে থাকলে চলবে না। বিশ^ বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। বাংলাদেশ গত অর্থ বছরে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তৈরী পোশাক। ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্য বহুমূখী করণ এবং বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।

আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত “তৈরী পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ” শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প এখন শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে বড় বড় গ্রীন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। ফ্যাক্টরিগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং কম্পøায়েন্স। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেট গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের পর সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে ১০টি তৈরী পোশাক ফ্যাক্টরিকে এনার্জি এন্ড ইনভিরনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। এবার ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরী পোশাক ফ্যাক্টরিকে এলইইডি সার্টিফিকেট দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারসহ বাংলাদেশের ৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এটি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের জন্য বিরল সম্মানের। অনেক বাধা বিপত্তি সফল ভাবে অতিক্রম করে বাংলাদেশ এখন তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বিশে^র মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশে^র প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে সার্ভিস সেক্টরসহ ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ^ বাণিজ্যের নিয়ামক সংস্থা ডব্লিউটিও প্রদত্ত সকল বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। বিশ^বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে কোন চ্যালেনঞ্জ মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। তৈরী পোশাক খাতে শিশু শ্রম বন্ধ, কোঠা প্রথা বাতিল, কম্পøায়েন্স ফ্যাক্টরি নির্মাণসহ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। অতীতের সকল ভুলক্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যবসা বান্ধব বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএফটিআই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, সিপিডির’র গবেষনা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ, কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ।