Sun, Nov 3 2019 - 1:13:39 PM +06

হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে কাশ্মীরের তরুণরা


News Image
হলি টাইমস রিপোর্ট: 
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক ও রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর সেখানে এখনো অচলাবস্থা চলছে। কড়া কারফিউর কারণে প্রায় তিন মাস ধরে কার্যত বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীর।
তবে কাশ্মীরের রুদ্ধশ্বাস অবস্থা ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের জন্য। সেখানকার ক্ষুব্ধ ও হতাশাগ্রস্ত তরুণরা সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠনে নাম লেখাতে শুরু করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
এতে বলা হয়, কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকরা সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র তুলে নিতে শুরু করায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। পুলওয়ামা থেকে কুলগাম- প্রতিটি হামলায় স্থানীয় যুবকেরা জড়িত আছে বলে দাবি পুলিশের।
ওই প্রবণতা রোখাই এখন দিল্লির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,  বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পরে সেনা-আধাসেনার বাড়তি বাহিনী থাকা সত্ত্বেও অব্যাহত হামলায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
তাহলে ফের কি কঠিন হতে শুরু করেছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, যেমনটি হয়েছিল হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে হত্যার পর। ২০১৬ সালে ২৯ বছরের ওই তরুণকে হত্যার পর সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী দলে নাম লেখানোর হিড়িক উঠেছিল কাশ্মীরজুড়ে।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক ও রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ এবং তিন মাসের টানা নিষেধাজ্ঞা ফের সেই পরিস্থিতি দ্রুত ফিরিয়ে আনছে বলে আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দারা।
পুলওয়ামায় আধাসেনা বহরে হামলাকারী আদিল দার বা কুলগামে বাঙালি শ্রমিকদের হত্যার পেছনে থাকা হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর আইজাজ মালিক- সবাই স্থানীয়। গত তিন মাসে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে যে কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন তার ৮০ শতাংশই হলো স্থানীয় যুবক।
দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ফের উধাও হয়ে যেতে শুরু করেছে যুবকেরা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তাদের অধিকাংশ নাম লিখিয়েছে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনগুলোতে।
গোয়েন্দাদের দাবি, বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর এমনভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে যেন কাশ্মীরিদের অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। ওই প্রচারে প্রভাবিত হতে শুরু করেছে সাধারণ কাশ্মীরি বিশেষত যুবকরা।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কার বিষয় হলো, এই মুহূর্তে গোটা উপত্যকার জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ এর কম। তাদের কোনো স্থায়ী রোজগার নেই। সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী দলে নাম লেখালে আয়ের উৎস তৈরি হয়।
অন্যদিকে বুরহান ওয়ানির মতো স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা এখন কাশ্মীরি যুবকদের কাছে রোল মডেল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, ‘দুর্ভাগ্য যে বুরহান বা জাকির মুসাই হলো কাশ্মীরের যুবকদের রোল মডেল। পাল্টা কোনো রোল মডেল আমরা দাঁড় করতে পারিনি।’ #