
হলি টাইমস রিপোর্ট :
সাংবাদিকদের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ব্যবসা চালাচ্ছেন রায়হান খান নামের একজন প্যান্ট ব্যবসায়ী। মিরপুর মাজার কলেজ মার্কেটের দোতালায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত মাজার শরিফের নিয়ন্ত্রণাধীন কলেজ মাকের্টের দোতলায় বি-২৭ নম্বর খান ডেনিম নামের দোকানের মালিক রায়হান খান। প্রকাশ্যে তার মূল ব্যবসা জিন্স প্যান্ট বিক্রি করা। অথচ সে বিভিন্ন ওয়াশিং ফ্যাক্টরী এবং কারখানা থেকে সাংবাদিকদের নামে কমপক্ষে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন। এই চাঁদার বড় অঙ্কটিতে চলে তার প্যান্টের ব্যবসা।
ওই সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, রায়হানের সাভারে একটি অবৈধ ওয়াশিং কারখানা রয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সে ওই অবৈধ কারখানাটি চালায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্যান্ট ব্যবসায়ী রায়হান খান, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুরের ইস্টার্ণ হাউজিং আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা কমপক্ষে ২২ টি অবৈধ ওয়াশিং কারখানা থেকে সাংবাদিকদের নামে ৭ লাখ টাকা চাঁদা তোলেন।এই চাঁদার ভাগবাটোয়ারাও বেশ অদ্ভুত। এই চাঁদা থেকে ৫৫ হাজার টাকা যায় সাংবাদিক নামধারী কয়েকজন ব্যক্তির কাছে। চার লাখ টাকা যায় তিতাস গ্যাসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের পকেটে। এক লাখ টাকা যায় তিতাসের ইনফরমারদের পকেটে। বাকি টাকা মি. রায়হান নিজেরে পকেটে রেখে ব্যবসা করেন। ভাগবাটোয়ারা যত টাকার অঙ্কে হোক না কেনো, মূল টাকাটা তোলা হয় সাংবাদিকদের নাম করেই।
তিতাসের একটি সূত্র জানিয়েছেন, আবাসিক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই এই ওয়াশিং ফ্যাক্টারিগুলো চলছে। মাঝে মাঝে অভিযানও চালায় তিতাস। সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে । কিন্তু এক ঘন্টা পরেই আবার সেই অবৈধ সংযোগ নিয়ে কারখানা চালু হয়ে যায়। তিতাসের এই বারবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন আর চালুর খেলাটা চলে ঘুষের বিনিময়ে। মোহাম্মদ আলী এবং বাবু নামের দুই দালালের মাধ্যমে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা ঘুষ ঢোকে উর্ধতন কর্মকর্তা এবং তিতাসের কর্মচারিদের পকেটে। ঘুষ গ্রহণকারী কর্মচারিরা আবার ওই ওয়াশিং কারখানাগুলোর আনফর্মার হিসেবে কাজ করে। যাতে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযানের আগাম খবর তাদের দেওয়া হয়।
রায়হানের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের যখন কথা হয়, তখন রায়হান অনেকটা দৃঢ়ভাবেই বলেছিলেন, এইতো একদিন পড়েই অভিযানে নামবে তিতাস। আমরা সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে গ্যাসের বোতল ফিট করে রেখেছি। আমার কারখানায়ও যাবে। কিছুই পাবে না। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই অভিযানটাতো অনেকটা গোপনীয় থাকার কথা। আপনি জানলেন কি করে ? উত্তরে সে বলেছিল, তিতাসে আমাদের লোক আছে।
বিষয়টি নিয়ে তিতাসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে হলি টাইমসের এই প্রতিবেদকের। তারা বলেছেন, তাদের নামে কারা চাঁদা তোলে সে বিষয়টি তারা জানেন না। এখন তিতাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। কোথায়ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকলে তারা তা বিচ্ছিন্ন করবেনই।
একটি ওয়াশিং কারখানার ম্যানেজার, নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে অন রেকর্ডিংয়ে বলেছেন, রায়হান খান সাংবাদিকদের নামে ২২ টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরি থেকেই চাঁদা তোলে।তার সঙ্গে গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ আলী এবং বাবু নামে দুই জন রয়েছেন। এদের গ্যাস অফিসের সামনেই দেখা যায় বেশি।
ওই ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাহয়ান খান মাসে প্রতি ওয়াশিং কারখানা থেকে সাংবাদিকদের নামে ৫ হাজার এবং তিতাসের কর্মকর্তাদের দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা চাদা তোলেন। সব মিলিয়ে মাসে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা তোলা হয়।
হলি টাইমসের এই প্রতিবেদকের কাছে রায়হান খান স্বীকার করেছেন যে, প্রতিমাসে তিনি সাংবাদিকদের নামে কারখানাগুলো থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন । আর তিতাসের জন্য চাঁদা তুলতেন মোহাম্মদ আলী এবং বাবু। তবে এখন বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কিছু স্থানীয় নেতা সেই চাঁদা তুলছেন। তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারবেন না।
কোন কোন সাংবাদিক’কে এই চাঁদার টাকা দেন, তাদের পত্রপত্রিকা বা মিডিয়ার নাম কি ? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি রায়হান খান। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের নাম আমি বলবো না। তবে আমি তাদের পত্রপত্রিকা বা মিডিয়ার নাম একদমই জানিনা। এদের মধ্যে একজনকে ২৫ হাজার, একজনকে ১৫ হাজার একজনকে ১০ হাজার আর দুইজনকে ২ হাজার করে টাকা দেই। বাকি টাকা আমি ব্যবসায় লাগাই। তিনি এও বলেছেন, ওই সাংবাদিকরা তিতাসের অভিযান বন্ধ করতে পারে না বলে এখন আর টাকা দেই না আর আমিও চাঁদা তুলি না। তবে হলি টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, রায়হান খান এখনো চাঁদা তোলেন।
বেশ কয়েকটি সূত্র হলি টাইমসকে জানিয়েছেন, খান ডেনিমস দোকানের মালিক রায়হান খান, সাংবাদিকদের নামে চাঁদা তোলা ছাড়াও আরো কিছু অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেগুলো হলি টাইমসের এই প্রতিবেদক অনুসন্ধান শুরু করেছেন। সেই অবৈধ কাজগুলোর তথ্য যাচাই বাছাই এবং সত্যতা খুঁজে পাওয়ার পর প্রকাশ করা হবে।
সাংবাদিকদের নামে লাখ টাকা চাঁদা তোলেন প্যান্ট ব্যবসায়ী
হলি টাইমস রিপোর্ট :
সাংবাদিকদের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ব্যবসা চালাচ্ছেন রায়হান খান নামের একজন প্যান্ট ব্যবসায়ী। মিরপুর মাজার কলেজ মার্কেটের দোতালায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত মাজার শরিফের নিয়ন্ত্রণাধীন কলেজ মাকের্টের দোতলায় বি-২৭ নম্বর খান ডেনিমস নামের দোকানের মালিক রায়হান খান। প্রকাশ্যে তার মূল ব্যবসা জিন্স প্যান্ট বিক্রি করা। অথচ সে বিভিন্ন ওয়াশিং ফ্যাক্টরী এবং কারখানা থেকে সাংবাদিকদের নামে কমপক্ষে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন। এই চাঁদার বড় অঙ্কটিতে চলে তার প্যান্টের ব্যবসা।
ওই সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, রায়হানের সাভারে একটি অবৈধ ওয়াশিং কারখানা রয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সে ওই অবৈধ কারখানাটি চালায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্যান্ট ব্যবসায়ী রায়হান খান, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুরের ইস্টার্ণ হাউজিং আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা কমপক্ষে ২২ টি অবৈধ ওয়াশিং কারখানা থেকে সাংবাদিকদের নামে ৭ লাখ টাকা চাঁদা তোলেন।এই চাঁদার ভাগবাটোয়ারাও বেশ অদ্ভুত। এই চাঁদা থেকে ৫৫ হাজার টাকা যায় সাংবাদিক নামধারী কয়েকজন ব্যক্তির কাছে। চার লাখ টাকা যায় তিতাস গ্যাসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের পকেটে। এক লাখ টাকা যায় তিতাসের ইনফরমারদের পকেটে। বাকি টাকা মি. রায়হান নিজেরে পকেটে রেখে ব্যবসা করেন। ভাগবাটোয়ারা যত টাকার অঙ্কে হোক না কেনো, মূল টাকাটা তোলা হয় সাংবাদিকদের নাম করেই।
তিতাসের একটি সূত্র জানিয়েছেন, আবাসিক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই এই ওয়াশিং ফ্যাক্টারিগুলো চলছে। মাঝে মাঝে অভিযানও চালায় তিতাস। সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে । কিন্তু এক ঘন্টা পরেই আবার সেই অবৈধ সংযোগ নিয়ে কারখানা চালু হয়ে যায়। তিতাসের এই বারবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন আর চালুর খেলাটা চলে ঘুষের বিনিময়ে। মোহাম্মদ আলী এবং বাবু নামের দুই দালালের মাধ্যমে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা ঘুষ ঢোকে উর্ধতন কর্মকর্তা এবং তিতাসের কর্মচারিদের পকেটে। ঘুষ গ্রহণকারী কর্মচারিরা আবার ওই ওয়াশিং কারখানাগুলোর আনফর্মার হিসেবে কাজ করে। যাতে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযানের আগাম খবর তাদের দেওয়া হয়।
রায়হানের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের যখন কথা হয়, তখন রায়হান অনেকটা দৃঢ়ভাবেই বলেছিলেন, এইতো একদিন পড়েই অভিযানে নামবে তিতাস। আমরা সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে গ্যাসের বোতল ফিট করে রেখেছি। আমার কারখানায়ও যাবে। কিছুই পাবে না। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই অভিযানটাতো অনেকটা গোপনীয় থাকার কথা। আপনি জানলেন কি করে ? উত্তরে সে বলেছিল, তিতাসে আমাদের লোক আছে।
বিষয়টি নিয়ে তিতাসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে হলি টাইমসের এই প্রতিবেদকের। তারা বলেছেন, তাদের নামে কারা চাঁদা তোলে সে বিষয়টি তারা জানেন না। এখন তিতাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। কোথায়ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকলে তারা তা বিচ্ছিন্ন করবেনই।
একটি ওয়াশিং কারখানার ম্যানেজার, নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে অন রেকর্ডিংয়ে বলেছেন, রায়হান খান সাংবাদিকদের নামে ২২ টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরি থেকেই চাঁদা তোলে।তার সঙ্গে গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ আলী এবং বাবু নামে দুই জন রয়েছেন। এদের গ্যাস অফিসের সামনেই দেখা যায় বেশি।
ওই ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাহয়ান খান মাসে প্রতি ওয়াশিং কারখানা থেকে সাংবাদিকদের নামে ৫ হাজার এবং তিতাসের কর্মকর্তাদের দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা চাদা তোলেন। সব মিলিয়ে মাসে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা তোলা হয়।
হলি টাইমসের এই প্রতিবেদকের কাছে রায়হান খান স্বীকার করেছেন যে, প্রতিমাসে তিনি সাংবাদিকদের নামে কারখানাগুলো থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন । আর তিতাসের জন্য চাঁদা তুলতেন মোহাম্মদ আলী এবং বাবু। তবে এখন বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কিছু স্থানীয় নেতা সেই চাঁদা তুলছেন। তিনি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারবেন না।
কোন কোন সাংবাদিক’কে এই চাঁদার টাকা দেন, তাদের পত্রপত্রিকা বা মিডিয়ার নাম কি ? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি রায়হান খান। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের নাম আমি বলবো না। তবে আমি তাদের পত্রপত্রিকা বা মিডিয়ার নাম একদমই জানিনা। এদের মধ্যে একজনকে ২৫ হাজার, একজনকে ১৫ হাজার একজনকে ১০ হাজার আর দুইজনকে ২ হাজার করে টাকা দেই। বাকি টাকা আমি ব্যবসায় লাগাই। তিনি এও বলেছেন, ওই সাংবাদিকরা তিতাসের অভিযান বন্ধ করতে পারে না বলে এখন আর টাকা দেই না আর আমিও চাঁদা তুলি না। তবে হলি টাইমসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, রায়হান খান এখনো চাঁদা তোলেন।
বেশ কয়েকটি সূত্র হলি টাইমসকে জানিয়েছেন, খান ডেনিমস দোকানের মালিক রায়হান খান, সাংবাদিকদের নামে চাঁদা তোলা ছাড়াও আরো কিছু অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেগুলো হলি টাইমসের এই প্রতিবেদক অনুসন্ধান শুরু করেছেন। সেই অবৈধ কাজগুলোর তথ্য যাচাই বাছাই এবং সত্যতা খুঁজে পাওয়ার পর প্রকাশ করা হবে।