Contact For add

Wed, Aug 30 2023 - 12:49:40 PM +06 প্রচ্ছদ >> তথ্যপ্রযুক্তি

ইসরোর সেই ভুয়া বিজ্ঞানী গ্রেফতারইসরোর সেই ভুয়া বিজ্ঞানী গ্রেফতার

ইসরোর সেই ভুয়া বিজ্ঞানী গ্রেফতার
গত ২৩ আগস্ট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। বৃহস্পতিবার ভোরে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে চাঁদের মাটিতে নেমে আসে রোভার প্রজ্ঞান। হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রজ্ঞান রোভার এখন চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সাফল্যে গর্বিত গোটা ভারতবাসী। আর এই সাফল্যে গোটা বিশ্বে প্রশংসিত ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। 
 
কিন্তু এই পরিস্থিতির সুযোগ নেন ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা মিতুল ত্রিবেদী। চাঁদের মাটিতে বিক্রম ল্যান্ডারের পাখির পালকের মতো অবতরণের (সফ্ট ল্যান্ডিং) পর মিতুল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, বিক্রম তৈরির নেপথ্যে তার অবদান রয়েছে।
 
মিতুলের দাবি, বিক্রম ল্যান্ডারের প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছেন তিনিই। ইসরোর নিয়োগপত্রও প্রমাণ হিসেবে দেখান মিতুল। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসেবে দাবি করলে বিষয়টি গুজরাট পুলিশের নজরে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করেছেন মিতুল। ভারতীয় আইন অনুযায়ী মিতুলের বিরুদ্ধে সুরাটের অপরাধ দমন শাখা জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মিতুলকে গ্রেফতার করে সুরাট পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের পর মিতুল একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মিতুল জানান, তিনি তৃতীয় চন্দ্রযানের বিক্রম ল্যান্ডারের নকশা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রমাণ হিসেবে ভুয়া নিয়োগপত্রও দেখান তিনি। সেই নিয়োগপত্রে লেখা রয়েছে, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইসরোর ‘অ্যানসিয়েন্ট সায়েন্স অ্যাপ্লিকেশন ডিপার্টমেন্ট’-এর সহকারী চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয় মিতুলকে। এমনকি মিতুল যে ইসরোর ‘স্পেস রিসার্চ মেম্বার’ তারও প্রমাণ দেন তিনি।
 
মিতুল দাবি করেন, মঙ্গলগ্রহ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী গবেষণার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানের সম্মান খর্ব করার চেষ্টা করেছেন মিতুল। তিনি যে কোনওভাবেই ইসরোর সঙ্গে যুক্ত নন তার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলেন মিতুল। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। 
 
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য ইকোনমিক টাইমস, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


Comments