ই-সিগারেট মাদক জগতে প্রবেশের উপযুক্ত একটি মাধ্যম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, মাদক জগতে প্রবেশের শুরু হয় তামাক বা সিগারেটের মাধ্যমে। বর্তমানে তরুণরা ই-সিগারেট খাচ্ছে। মাদক জগতে প্রবেশের উপযুক্ত একটি মাধ্যম এই ই-সিগারেট। এটি অসংক্রামক একটি রোগ তৈরি করে শরীরে, যা নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সিরডাপ মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি সেমিনারে এসব কথা বলেন ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, তামাক বা সিগারেট নিলে অসংক্রামক রোগ হয়। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় অসংক্রামক রোগে। এই রোগের চিকিৎসা করতে হয় মৃত্যু পর্যন্ত। কোভিড, ডেঙ্গু এগুলো প্রত্যক্ষ এবং সংক্রামক রোগ। এসব রোগের চিকিৎসা আছে। কিন্ত তামাকের আক্রমণ নীরব ঘাতক। যখন রোগী মারা যাওয়ার একটা প্রসেসে চলে, তখন বোঝা যায় টোব্যাকো কতটা আক্রমণাত্মক।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অনেক মানুষ চায় আর তামাক ব্যবহার করবেন না। কিন্ত তামাক তাদের ছাড়ে না। হার্ট ডিজিজ, ব্লাড প্রেশারের পাশাপাশি এটি পায়ের চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় আঘাত করে। তামাক ও সিগারেট নির্মূলে অনেক নীতিমালা আছে, কিন্ত এগুলোর ইমপ্লিমেন্ট হয় না, এসব আইন স্ট্রং না। যারা সিগারেট খায়, আর যারা এখনো খায় না, তাদের নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সিগারেট থেকে সরকার রাজস্ব আয় করছে, কিন্ত এরফলে পাবলিক হেলথ, স্বাস্থ্য বিভাগ কতটা ভোগান্তির হচ্ছে এটাও দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মেয়েরাও তামাক গ্রহণ করছে। তারা গুপ্তভাবে খায়, আমরা দেখি না। সোসাইটি মেয়েদের সিগারেট খাওয়াকে ভিন্নভাবে দেখে বলে তারা লুকিয়ে খাচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন।
এসময় ‘অসংক্রামক রোগ ও তামাক: বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী।