সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটে বেড়েছে স্বাধীনতা বিরোধী সাংবাদিকদের দাপট। যখন তখন রাজনৈতিক পরিচয় ওলট পালট করে প্রশাসনের কাছ থেকে এরা বিভিন্ন সুবিধা গ্রহন করে।সাংবাদিকতার কোনো নীতি নৈতিকতার ধার ধারে না । তারা অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকায় মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে অবমাননাকর পরিস্থিতির সম্মূখীন হচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন বিভাগীয় প্রেসক্লাব সিলেটের নেতৃবৃন্দ। স্বাধীনতা বিরোধী সাংবাদিকদের তালিকায় কাদের নাম রয়েছে সেই তালিকাটি প্রকাশ করেনি সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাব।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলেছে, সিলেটে বর্তমানে একাধিক সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে। অপ্রকাশিতভাবেই সেখানে স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের সংখ্যাটা বেশি। তাদের ক্ষমতা দেখানোর একটা অনৈতিক চেষ্টা চলে সব সময়।
সম্প্রতি সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল লতিফ এবং খালেদ উসমানী।এই দুজনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তাদের নেতৃত্বে সিলেটের প্রায় সকল সাংবাদিক মুক্ত তথ্য প্রবাহের একটি আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী কিছু সাংবাদিক সুকৌশলে তাতে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে সিলেট বিভাগীয় প্রেস ক্লাব। নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশের উন্নয়ন ব্যহত করতে চায় । এমন অভিযোগ তাদের।
শনিবার সিলেটে সার্কিট হাউসে প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে অপ-সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক আপত্তি তুললে বাক বিতন্ডা হয়। অবশেষে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বিভাগীয় প্রেস ক্লাব সিলেটের সাধারণ সম্পাদক খালেদ উসমানী কে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, বিভাগীয় প্রেসক্লাব সিলেটে আলাদা একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করবেন।
সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেছেন, সিলেটে স্বাধীনতা বিরোধী সাংবাদিকদের অপতৎপরতা রোধে প্রশাসনের সহযোগিতা নেবেন। এমনকি যে সব সাংবাদিক দেশের উন্নয়নে বিদ্বেষমূলক ভূমিকা নিচ্ছেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ করা হবে।