Contact For add

Tue, Jan 2 2018 - 1:28:58 PM +06 প্রচ্ছদ >> বিশেষ খবর

Take the responsibility of the Minister of Fisheries and Livestockমৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ

সাগরিকা মন্ডল :

 

আজ ২ জানুয়ারি তিনি পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নারায়ন চন্দ্র চন্দ এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ধানমন্ডীর ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে তাকে মাল্যদান করা হবে । এরপর তিনি মিডিয়াকর্মীদের সাথে ও কথা বলবেন বলে জানা যায়।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার উলা গ্রামের বিখ্যাত চন্দ বংশের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দের মেঝ ছেলে। ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতা ছিলেন স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দ। স্ত্রী ঊষা রানী চন্দ স্কুল শিক্ষক। নারায়ন তিনি তিনছেলে ও একমেয়ের জনক। বড়ছেলে বিশ্বজিত চন্দ্র চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ও ডীন। মেঝছেলে সত্যজিত চন্দ্র চন্দ ব্যবসায়ী ও ছোটছেলে অভিজিত চন্দ্র চন্দ ব্যবসায়ী। একমাত্র মেয়ে জয়ন্তী দত্ত গৃহিনী। জামাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক। তাঁর বড়ভাই দীন বন্ধু চন্দ্র চন্দ শোভনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ছিলেন।

তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় উলাগ্রামের পাঠশালায় । তিনি বান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ১৯৬১ সালে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক্যুলেশন পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৬৭ সালে একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। কর্মজীবন মাস্টার্সের ফলপ্রকাশের পূর্বেই নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে এই স্কুল থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়। ১৯৭৩ সালের ৭ মে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৪ সালে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ডুমুরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র চালু হয়। এর আগে খুলনা শহরে শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা দিতে হতো। চাকুরিকালীন সময়ে ১৯৭২ সালে তিনি বিএড পাশ করেন। তিনি ২০০৫সালের ১১ মার্চ চাকরী থেকে অবসর নেন।

 

শিক্ষকনেতা ও সংগঠক হিসাবে তিনি ১৯৬৮ সালে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠা করেন থানা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। তিনিএ  সময় প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব ও পালন করেন। এরপর ১৯৮৭ সালে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুই দশক ধরে তিনি ওই পদ সামলেছেন।

 

এরপর শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ১৯৬৭ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে থানাকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব ও পান তিনি। ১৯৮৪ সালে তিনি ডুমুরিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে গঠিত কমিটিতেও তিনি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই পদে এখনও তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সদস্য। জনপ্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ছয়বার তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সালাহউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোট প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন। দলের জন্য পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মী-সংগঠক চন্দ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর মেয়াদকালে গত ৫ বছরে ডুমুরিয়া ফুলতলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কাজ করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি দায়িত্ব পান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এবং আজ ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তিনি পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে  পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানা যায়।



Comments

Place for Advertizement
Add