Contact For add

Mon, Jan 8 2018 - 12:56:09 PM +06 প্রচ্ছদ >> জাতীয়

Everyday 130 Rohingya children will be born in the shelter centerপ্রতিদিন ১৩০ রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নেবে আশ্রয় কেন্দ্রে

প্রতিদিন ১৩০ রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নেবে আশ্রয় কেন্দ্রে

 

হলি টাইমস রিপোর্ট :

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নেবে।

সংস্থাটি আশঙ্কা করছে, অস্থায়ী ক্যাম্পে জন্ম হতে যাওয়া এই নবজাতকদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন রোগ ও পুষ্টিহীনতার ফলে মারা যেতে পারে।

এই বিরাট সংখ্যক শিশুর জন্ম প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি মোকাবেলা করা বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের জন্যে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।

গত বছরের অগাস্টের শেষ থেকে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হত্যা ও নিপীড়নের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন প্রায় সাত লাখের কাছে। এদের মধ্যে বড় অংশটি নারী ও শিশু।

সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবছর প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ১৩০টি শিশু জন্ম নেবে।

কক্সবাজারে সংস্থাটির কর্মকর্তা ওলি চৌধুরী বলছেন, জনসংখ্যা এবং সন্তান জন্মদানের হারসহ কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা শিশু জন্মের এই হিসাব করেছেন। খবর বিবিসির।

"এখানে গর্ভবতী নারীর সংখ্যা এবং প্রতি ঘরে কতো মানুষ বাস করে, সেটিও আমাদের একটি বিবেচনা ছিল। কারণ প্রায় দশ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে, তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী। এদের মধ্যে প্রজননক্ষম মানুষের সংখ্যা বিচার করলে, সহজেই বলা যায় যে এ বছর প্রায় ৫০ হাজার শিশু জন্ম নেবে।"

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে বিপুল একটি জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান এবং চিকিৎসাসহ সব ধরনের দায়িত্ব নিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

সেই সঙ্গে শিক্ষা ও পুষ্টি নিয়ে উদ্বেগ যেমন রয়েছে, একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের ওপরেও চাপ পড়ছে ব্যাপক।

এখন এই শিশুদের জন্ম প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে কি ধরণের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে?

 


 

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক ফিলিপ মান বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় মূলত তিন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

"প্রথমত সন্তানসম্ভবা নারীরা যেহেতু নিয়মিত হাসপাতালে যায় নি, তার ফলে ফলে তাদের একটি বড় অংশ হয়তো বাড়িতেই সন্তান জন্ম দেবে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, যেখানে তারা থাকে সেটা প্রত্যন্ত একটি জায়গা এবং সেখান থেকে আট/নয় মাসের গর্ভবতী একজন নারীর চিকিৎসার জন্য কোথাও যাওয়া কঠিন। এছাড়াও নবজাতক শিশুদের পুষ্টি নিয়েও উদ্বেগ আছে।"

 

তিনি বলেন, শরণার্থী শিবিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে নতুন শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও পয়-নিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে সমস্যা আরো বাড়বে।

তবে নতুন রোহিঙ্গা শিশুর জন্মের হিসাবের ব্যাপারে সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে একমত নয় সরকার। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলছেন, তাদের হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা ত্রিশ হাজারের মত।

তিনি এও জানিয়েছেন, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

 


 

"শিশুর জন্মের আগে এবং পরে প্রসূতি মায়ের যত্ন, এরপর ডেলিভারিসহ সব ব্যবস্থাই তো আমাদের আছে। প্রসূতি মা ও শিশুর পুষ্টির ব্যাপারেও তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। এসব কার্যক্রম গত পাঁচ মাস ধরেই চলছে।"

মি. সালাম বলছেন, মাতৃমৃত্যু রোধ এবং পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার।

এক্ষেত্রে ক্যাম্পে পুষ্টিকর খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।



Comments

Place for Advertizement
Add