বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি সক্রিয় না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ নেতৃত্ব। এ দিন হাসিনা ঢাকায় আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছি শরণার্থী ফেরাতে দিল্লি মায়ানমারকে চাপ দিক, তাতে কাজ হবে।’’ সেই সঙ্গে উঠে আসছে অসমে বৈধ নাগরিক পঞ্জির খসড়া প্রকাশের পর সেখানকার সংখ্যালঘুদের ঘর ওয়াপসি-র প্রশ্নও। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি জানিয়েছেন, অসমে বাংলাদেশি বসতি থাকার সম্ভাবনা নেই। ফলে কাউকে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নটিও উঠছে না।

এনআরসি-র প্রথম খসড়ায় অসমবাসী এক কোটির বেশি মানুষের নাম নেই। বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন  ১৯৭১ সালের পর এ দেশে আসা মানুষদের হয়রান করার কোনও মানে হয় না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবশ্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী থাকার তত্ত্বটিকেই কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইনুর বক্তব্য, ‘‘অসম এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোনও কাঁটাতার নেই কারণ গোটা এলাকাটি অতীব দুর্গম। কোনও বাংলাদেশির পক্ষে এই পথ অতিক্রম করে বসতি তৈরি করা অসম্ভব।’’ তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা হয়নি। ইনুর বক্তব্য, ‘‘অসমের এনআরসি-র বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যতক্ষণ না ভারত আমাদের কিছু জানায়, আমরা নাক গলাতে চাই না । সূত্র:অানন্দবাজার পত্রিকা