কপিল ঘোষ, চিতলমারী প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের চিতলমারী ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোচিং বানিজ্যে অতিষ্ট হয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট সোমবার লিখিত অভিযোগ করেছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রয়েছে আরো নানা অভিযোগ। অবিলম্বে কোচিং বানিজ্য বন্ধের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
অভিযোগে জানা যায়, ডুমুরিয়া স্কুলের কতিপয় শিক্ষক কোচিং বাধ্যতামূলক করেছেন। ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি ২য় পত্র, গনিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের কোচিং ফি ধার্য্য করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। আর কোচিংয়ের টাকা না দিলে পূরণকৃত ফরম বাতিল করে দেয়া হবে বলে শিক্ষকেরা হুমকি দিচ্ছেন। অনুপয় হয়ে পড়েছে ওই স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীরা। ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ১০০ টাকা ও সেন্টার ফি ১৫০ টাকা ধার্য্য থাকলেও নেওয়া হয়েছে জনপ্রতি ৩০০ টাকা। শিক্ষকদের এ ধরনের আচরনে ওই স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষিকা রীতা মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ক্লাশে মেধায় দুর্বল ছাত্রদের জন্য তিনি সহযোগিতা করেন।
প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ রানা জানান, কোচিংয়ের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে কয়েকজন শিক্ষক এ নিয়ে তৎপর রয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান জানান, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।