Contact For add

Fri, Aug 18 2017 - 1:02:17 PM +06 প্রচ্ছদ >> পরিবেশ

The teacher was shot dead! 4 out of 9 students are admitted to the health centerশিক্ষকের মারপিটের শিকার ! ৯ ছাত্রীর মধ্যে ৪ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি

শিক্ষকের মারপিটের শিকার ! ৯ ছাত্রীর মধ্যে ৪ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি


হলি টাইমস রিপোর্ট :

       
বাগেরহাটের চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের নির্মম মারপিটের শিকার অষ্টম শ্রেণীর ৯ ছাত্রীর মধ্যে অসুস্থ ৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের দাবি ‘স্যারে’র কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট না পড়ার কারণে তাদের উপর এ নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছে।

এমনই অভিযোগ তুলে ওই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক শামিম হোসেনের বিরুদ্ধে আহত ছাত্রীর বাবা মোঃ মোতালেব শেখ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র নাথ বাড়ই জরুরী বৈঠক ডাকলেও কোন অভিভাবক বৈঠকে হাজির হয়নি।

 
অভিযোগ পত্রে জানা গেছে,  চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ শামিম হোসেন গত বুধবার অষ্টম শ্রেণীর ৯ ছাত্রীকে নির্মম ভাবে মারপিট করেন। এদের মধ্যে ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকালে মরিয়ম আক্তার (১৫), মুর্শিদা আক্তার (১৪), শাহানারা আক্তার (১৩) ও আখিঁ আক্তার (১৫) নামের ৪ ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এ খবর জানানানি হলে অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট সেলিফা জানান, আহত ওই ৪ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। তারপর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মারপিটের শিকার ছাত্রীরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়, উপজেলা রোডের বেসিক ব্যাংকের পশ্চিম পার্শ্বে পাশাপাশি শামিম স্যার ও আমিনুল স্যারের পৃথক দু’টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। শামিম স্যারের কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট না পড়ার কারণে সে তাদের উপর এ নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
অভিযোকারীর বাবা মোঃ মোতালেব শেখ জানান, শামিম স্যার তার মেয়েসহ ওই ছাত্রীদের নির্মম ভাবে পিটিয়েছে। তিনি শামিম স্যারের বিচার দাবী করেন।
হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ শামীম হোসেন জানান, বুধবার টিফিন পিরিয়ডে বেশ কয়েজন শিক্ষার্থী বেসিক ব্যাংকের সামনে একটি কোচিং সেন্টারে গোলমাল করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোঃ আবুল হোসেনকে নিয়ে ওই কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখেন প্রায় ৮/৯ জন ছাত্রী সেখানে অবস্থান করছে। এ সময় তিনি তাদের স্কুল অফিস কক্ষে নিয়ে এসে সকল শিক্ষকের সামনে তাদের শাসন করেন। তিনি এখন ভিলেজ পলিটিক্সের শিকার বলে দাবি করেন।
হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র নাথ বাড়ই জানান, ছাত্রীদের মারপিটের ঘটনায় স্কুল অফিস কক্ষে জরুরি সভার আহবান করা হয়। কিন্তু অভিভাবকেরা উপস্থিত না হওয়ায় আগামী রবিবার পুনরায় সভার দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু সাঈদ জানান, ছাত্রীদের মারপিটের ব্যাপারে অভিভাবকেরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাছাড়া তিনি মারপিটের প্রমান পেয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 



Comments

Place for Advertizement
Add