Contact For add

Tue, Nov 21 2017 - 4:21:38 PM +06 প্রচ্ছদ >> আন্তর্জাতিক

How the power conflict changed Zimbabwe politicsক্ষমতার দ্বন্দ্ব যেভাবে পাল্টে দিল জিম্বাবুয়ের রাজনীতি

ক্ষমতার দ্বন্দ্ব যেভাবে পাল্টে দিল জিম্বাবুয়ের রাজনীতি

হলি টাইমস রিপোর্ট :

উত্তরাধিকারের জন্য লড়াই

জিম্বাবুয়ের রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের জায়গায় কে আসবেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা কল্পনা চলছে। মি. মুগাবের বয়স এখন ৯৩ বছর। গত ৩৭ বছর ধরে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন। কিন্তু এত বয়স হওয়ার পরও তিনি থামতে রাজি নন। আগামী বছর সাধারণ নির্বাচনে দল তাকেই আবার মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু এর ফলে দলের মধ্যে ক্ষমতার কোন্দল কমেনি। বরং বেড়েছে। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মেনাংগাগওয়া এবং মি. মুগাবের স্ত্রী গ্রেস। মি. মেনাংগাগওয়া একজন খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা। আর গ্রেস মুগাবের উত্থান একেবারেই নাটকীয়।

একই মঞ্চে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এমরাসন মেনাংগাগওয়া এবং গ্রেস মুগাবে। মাঝে প্রেসিডেন্ট মুগাবে।ছবির কপিরাইটJEKESAI NJIKIZANA
Image captionএকই মঞ্চে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এমরাসন মেনাংগাগওয়া এবং গ্রেস মুগাবে। মাঝে প্রেসিডেন্ট মুগাবে।

উত্থানের ইতিহাস

গ্রেস মুগাবের রাজনৈতিক উত্থান ছিল দ্রুত এবং চমকপ্রদ। তিনি মি. মুগাবে'কে বিয়ে করেন ১৯৯৬ সালে। তখন তার ভূমিকা ছিল একজন ফার্স্ট লেডির। কিন্তু এর পরের বছরগুলিতে তিনি নিজেকে পাল্টাতে শুরু করেন। তিনি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। চালু করেন অনাথ আশ্রম। ২০১৪ সালে তিনি ক্ষমতাসীন দল জানু পিএফ-এর নারী শাখার প্রধান নিযুক্ত হন। এই পদাধিকার বলে তিনি দলের প্রেসিডিয়ামেও জায়গা পান। সেই একই বছর তিনি ষড়যন্ত্র করে ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়েস মুজুরুকে দল থেকে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর তিনি মনোযোগ দেন জি-৪০ নামে পরিচিত দলের তরুণ নেতাদের জোটের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার কাজে। এদেরকে তিনি এমারসন মেনাংগাগওয়ার নেতৃত্বাধীন জোট, যার নাম টিম ল্যাকোস্ট-এর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন।খবর বিবিসির

 

স্বামীর হাতে ধরে গ্রেস মুগাবে।ছবির কপিরাইটJEKESAI NJIKIZANA
Image captionস্বামীর হাতে ধরে গ্রেস মুগাবে।

বিষ প্রয়োগের ষড়যন্ত্র

এক সময়ে জি-৪০ এবং টিম ল্যাকস্টের মধ্যে ঝগড়া চরমে পৌঁছে। জানু পিএফ-এর এক সমাবেশ হয় চলতি বছর অগাস্ট মাসে। সেখানে একটি আইসক্রিম খেয়ে মি. মেনাংগাগওয়া এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অভিযোগ করা হয় যে আইসক্রিমটি তৈরি হয়েছিল গ্রেস মুগাবের এক ডেইরি ফার্ম থেকে। মিসেস মুগাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। মি. মেনাংগাগওয়া পরে বলেন, তাকে ঠিকই বিষ খাওয়ানো হয়েছিল, কিন্তু এর পেছনে ফার্স্ট লেডি থাকতে পারেন এমন কথা বলাই 'মিথ্যে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত'। এরপর থেকেই গ্রেস মুগাবে মি. মেনাংগাগওয়ার পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন।

'যথেষ্ট আনুগত্য' না থাকায় বরখাস্ত

নভেম্বর মাসে এমারসন মেনাংগাগওয়াকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তথ্যমন্ত্রী সাইমন খায়া ময়ও সে সময় বলেছিলেন, ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে 'আনুগত্যহীনতার লক্ষণ' দেখা গিয়েছে। এক কালে রবার্ট মুগাবের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান মি. মেনাংগাগওয়াকে যখন প্রাণনাশের হুমকি দেয়া শুরু হয়, তখন তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

রবার্ট মুগাবের পাশে এমারসন মেনাংগাগওয়া (বাঁয়ে)ছবির কপিরাইটAFP
Image captionরবার্ট মুগাবের পাশে এমারসন মেনাংগাগওয়া (বাঁয়ে)

সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি

মি. মেনাংগাগওয়া বরখাস্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পর জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনীর তরফে এক বিরল বক্তব্য দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর ৯০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাশে নিয়ে জেনারেল কনস্টানটিনো চিওয়েঙ্গা ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মি. মেনাংগাগওয়ার মত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সরিয়ে দেয়া সেনাবাহিনী বরদাশত করবে না। এই হুমকি দেয়ার দু'দিন পর সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের ক্ষমতা দখল করে।

পট পরিবর্তনের পর হারারের রাস্তায় মানুষের ঢল।ছবির কপিরাইটJEKESAI NJIKIZANA
Image caption

পট পরিবর্তনের পর হারারের রাস্তায় মানুষের ঢল।



Comments